আদালতে ক্ষমা চাইলেন ইউএনও বিল্লাল খান
নজরুল ইসলাম ব্যুরো চীপ (খুলনা): খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলা সাবেক নির্বাহী অফিসার বিল্লাল খান তার অপকর্মের জন্য ক্ষমা চাইলেন জেলা প্রশাসকের আদালতে। ইউএনও হিসেবে বটিয়াঘাটায় কর্মরত থাকা কালে অনেক অপকর্মের চিহ্ণ রেখে গেছেন। যা সরকারী আইন পরিপন্থি।সূত্রমতে, বটিয়াঘাটা উপজেলায় যোগদানের পর প্রশাসনিক ক্ষমতা বলে পুলিশ ব্যবহারের মাধ্যমে এলাকার সাধরণ মানুষকে একেরপর এক হয়রাণি করেন। যে কারণে ডজন খানেক মামলা নিয়ে বটিয়াঘাটা থেকে অন্যত্র বদলি হতে হয়। নি¤œ শ্রেণির একজন কর্মচারী বটিয়াঘাটা সদর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের শংকর চৌকিদারের বিরুদ্ধে একটি কাল্পনিক অভিযোগের জন্ম দিয়ে চাকরী থেকে গত ৮মে-১৬, স্মারক নং-৬২৫ আদেশে বহিস্কার করেন। শংকর চৌকিদারের বিরুদ্ধে অভিযোগটি ইউএনও প্রথম দফায় উপজেলা আনসার ভিডিপি অফিসার দিয়ে তদন্ত করান। অফিসার তদন্ত শেষে সত্যতা প্রমাণ না হওয়ায় ইউএনও পরবর্তীতে কৃষি কর্মকর্তা রুবায়েত আরার নিকট তদন্ত দেন। তদন্ত প্রতিবেদনে শংকর চৌকিদার নির্দোষ প্রমাণ হওয়ায় ইউএনও তদন্ত কর্মকর্তাদের উপর ক্ষুব্দ হন। এরপরও বিল্লাল খান দালালদের খুশি করার জন্য সামন্য চৌকিদার শংকরকে চাকরী থেকে বহিস্কার করেন। পরবর্তীতে শংকর জেলা প্রশাসকের আদালতে ইউএনও’র রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। বিজ্ঞ আদালত শংকর চৌকিদারের আপিল আমলে নেন। যার নম্বর ০১/১৬। দীর্ঘ বিশ মাস পর জেলা প্রশাসকের আদালতে বিল্লাল খানের অবৈধ আদেশ ১৬/১/১৮ তারিখ স্মারক ০১/২০১৬-৫৩(৬) মোতাবেক বাতিল করেন, এবং শংকর চৌকিদারকে একই আদেশে চাকরীতে বহাল করেন। মামলার আদেশে জানা যায়, শুনানী কালে ইউএনও বেল্লাল খান আদালতে প্রকাশ্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং চৌকিদারের চাকরী পুনবহালের জন্য আদালতে অনুরোধ করেন। প্রকাশ থাকে যে, বিল্লাল খান তার দালল বাহিনীর সহায়তায় বহু সম্মানী লোকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তৈরী করে সম্মন ক্ষুন্ন করেন। নির্যাতিত অনেকেই কৌতুলবসে কুকুর ছানার নাম রেখেছেন বিল্লাল খান। তবে উপজেলাবাসী খোকন মেম্মবরের দায়েরকুত অস্ত্র মামলায় সাবেক ইউএনও বিল্লাল খানের সাজা কামানা করেন।