বাগাতিপাড়ায় এখনও বই পাইনি ভোকেশনাল শিক্ষার্থীরা
বাগাতিপাড়া (নাটোর) সংবাদদাতা: ৬ফেব্রুয়ারী বই উৎসবে শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে আংশিক বই হাতে পেলেও নাটোরের বাগাতিপাড়ায় এসএসসি ভোকেশনাল শিক্ষাক্রমের বাংলা, ইংরেজি, গণিত, রসায়ন বিজ্ঞান, পর্দাথ বিজ্ঞান ও বাংলাদেশ বিশ্বপরিচয় সহ ট্রেড বই এখনও হাতে না পাওয়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোবের সৃষ্টি হয়েছে। চাপে রয়েছেন প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ। বই আনা-নেয়ার খরচ বাবদ প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছ থেকে ছয়’শ টাকা করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এদিকে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বলছেন সরকারি খরচে বই উপজেলা শিক্ষা কার্যালয়ে পৌছে যাবে। একটি টাকাও নেয়ার নিয়ম নেই।এক মাস পার হলেও উপজেলার সতেরটি ভোকেশনালে পাঠ্যবই পৌছেনি। শিক্ষার্থীদের হাতে বই দিতে না পারায় প্রতিষ্ঠান প্রধানদের জবাবদিহিতা করতে হচ্ছে বারংবার। কয়েকজন প্রতিষ্ঠান প্রধান অভিযোগ করে বলেন বই আনতে পরিবহণ খরচ হিসেবে ছয়’শ টাকা করে নেয়া হয়েছে অথচও এখনও বই আসেনি। তকিনগর আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মকবুল হোসেন লাবন দাবী করেন, ‘পাঠ্য বাই না পাওয়াতে সমস্যা হচ্ছে। তা মেনেই পুরাতন বই দিয়ে আপাতত চালিয়ে নিচ্ছি।’উপজেলা শিক্ষা অফিসার আহাদ আলী বলেন, ‘ভোকেশনালের বই জেলা অফিসে আসছে আমরা নিয়ে দিয়ে দেব। পৌছানো কোন খরচ পাই না। পাইলটের হেড মাস্টারের উপরে দায়িত্ব দেয়া আছে তাকে পাঠিয়ে ছিলাম। আমি অন্যদেরকে বলেছি যেটা খরচ হবে, আপনারা সকলেই শেয়ার করবেন।’বাগাতিপাড়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রোকৌশলী খালিদ হোসেন লিটন টাকা উঠানোর কথা স্বিকার করে বলেন, ‘বই আনার খরচ হিসেবে সকলের মতো আমিও টাকা দেই এবং গাড়ী ভাড়ার খরচ দিয়েই বই আনা হয়।’এব্যাপারে জেলা শিক্ষা অফিসার রমজার আলী আকন্দ বলেন, ‘পাঠ্য বই উপজেলা শিক্ষা কার্যালয় পর্যন্ত পৌছতে কোন প্রতিষ্ঠানের একটি টাকাও খরচ হবে না। সম্পূর্ণ সরকারি খরচে বই যাবে, টাকা নেয়ার নিয়ম নেই। বই নেয়া খরচ বাবদ টাকা নেয়া অপরাধ।’