খোলা কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধে অবিলম্বে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবী জানায় সরকারি নির্দেশনার পর বন্ধ আদমদীঘির কোচিং সেন্টার! তবে কিছু সেন্টার চালুর অভিযোগ
আদমদীঘি প্রতিনিধি: মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এস এস সি) ও সমমানের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে পরীক্ষা শেষ না হওয়া পযর্ন্ত কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধের সিন্ধান্তের পর বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার উল্লেখযোগ্য কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ হয়ে গেলেও কিছু কিছু কোচিং সেন্টারগুলোতে কোচিং চালিছে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।সরজমিনে আদমদীঘি উপজেলা সদর ও সান্তাহার পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন কোচিং সেন্টারগুলোতে তালা ঝুলছে। শিক্ষার্থীদের ছুটি দেওয়া হয়েছে। তবে মেইন রোডে পার্শ্বে বা শহরের অদুরে কিছু কিছু কোচিং সেন্টারে গোপনে কোচিং অব্যহত রেখেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সেইসব কোচিং সেন্টারগুলোতে সামনে তালাবদ্ধ করে ভিতরে আইনের তোয়াক্কা না করে কোচিং চালিয়ে যাচ্ছে। কেহ কোচিং সেন্টার বন্ধ রেখেছে আবার কাহারো কোচিং সেন্টার চালু থাকবে এই নিয়ে শিক্ষক সমাজের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। তারা বলছে কোচিং বন্ধ থাকলে সবার থাকবে। আর যে সকল শিক্ষকরা বাসায় নিয়ে কোচিং এর মত করে প্রাইভেট পড়ান, তাদের প্রাইভেট বন্ধ রাখার দাবী জানায়। আদমদীঘি উপজেলার গুরুত্বপূর্ন শহর সান্তাহারে দৃশ্যপটই অনেকটা বদলে গেছে। সকাল বিকাল দলে দলে শিক্ষার্থীদের কোচিং সেন্টারে যাওয়ার যে পরিচিত দৃশ্য, তা এখন আর নাই। বিশেষ করে সান্তাহার কোচিং সেন্টার এলাকা হিসাবে বিখ্যাত মালা সিনেমা হল সংলগ্ন এলাকাগুলো এখন নিরব, শান্ত। কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকায় বিভিন্ন ক্লাসের শিক্ষার্থীদের চরম ক্ষতি হচ্ছে বলে একাধিক অভিভাবক জানায়। সান্তাহার বিপি উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্র সুমিনুল ইসলাম বলেন, কোচিং বন্ধে আমাদের সাময়িক অসুবিধা হয়তো হবে। সিলেবাসের ধারাবাহিকতা কিছুটা নষ্ঠ হবে। তারপরও সরকারের সিদ্ধান্ত কে তো অবশ্যই শ্রদ্ধা জনাতে হবে। আমরা চাই সরকার যে ভাবেই পারুক, প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধ হোক।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সান্তাহারে একটি কোচিং সেন্টারের পরিচালক জানান, সরকারের নির্দেশের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমার কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ রেখেছি। কোচিং খোলার পর যতটুকু পারা যায় আমরা বাড়তি ক্লাশ নেব। আমরা সব সময় শিক্ষার্থীদের ভাল চাই। তবে কেহ কোচিং সেন্টার বন্ধ রেখেছে আবার কেহ কোচিং চালু রাখবে এটা তো ঠিক নয়। যাহারা চালু রেখেছে তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবী জানায়। আনোয়ার হোসাইন নামে একজন অভিভাবক জানান, এখনকার শিক্ষার্থীরা কোচিং, প্রাইভেট কে অনেকটা আকর্ষনীয় ও আবশ্যক প্রতিষ্ঠান মনে করে। কোচিং না থাকলে তারা বাড়িতে পড়তে চায় না। তাই কোচিং বন্ধে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা বেশ ক্ষতি হবে। কিন্তু প্রশ্নফাঁস রোধে সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতি আমার সমর্থন আছে। তবে কোচিং সেন্টার বন্ধ বা চালুর একটি নীতিমালা হওয়া দরকার।সান্তাহার সচেতন নাগরিক ফোরামের সভাপতি ও এ্যাড.আবু আসাদ বলেন, প্রশ্নফাঁস রোধে সরকারের সিন্ধান্ত কে আমরা সমর্থন করি। আর কোচিং সেন্টার বন্ধের বিষয়টি যেহেতু সাময়িক, আমি মনে কোচিং সেন্টারের শিক্ষকদের বিষয়টি সহজ ভাবে নেওয়া উচিত।