রাজবাড়ী জেলার বিভিন্ন অঞ্চলেচলছে মাদক ব্যবসায় দেখার কেউ নেই।


ঝর্ণা পারভীন,জেলা প্রতিনিধি(রাজবাড়ী): দক্ষিন বঙ্গের একমাত্র রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ-দৌলতদিয়া এখানে রয়েছে বৃহত্তম একটি নৌ-বন্দর। এই বন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ১২০০-১৩০০ যাত্রীবাহী ছোট-বড় গাড়ী ফেরী ও লঞ্চ পাড়াপাড় হয়ে থাকে । এই বন্দরে রয়েছে একটি ট্রাক পার্কিং ও যাত্রীবাহী পার্কিং তারপাশে রয়েছে মাদকের হাট। এতে করে দৌলতদিয়া-গোয়ালন্দের যুব সমাজ ধ্বংসের সম্মুখে যাচ্ছে ও উঠন্ত বয়সের ছেলেরাও মাদকের ছোবলে পরছে। প্রতি নিয়মিতি এভাবে চলছে মাদক। এমন কোন নেশা দ্রব্য নেই যে গোয়ালন্দ-দৌলতদিয়া পাওয়া যায় না। এই ভাবেই দিনদিন বেড়েই চলেছে মাদকের স¤্রাজ্য। রাত-দিন ২৪ ঘন্টায় মাদক ক্রয়-বিক্রয় চলছে খোলামেলা অবস্থায়। এইভাবে চলতে থাকলে এক সময় দেখা যাবে গোয়ালন্দ-দৌলতদিয়া যুবসমাজ ও পুরো সমাজ ধ্বংসের ধাবিত হয়ে যাবে। এতে করে এলাকার সুশীল সমাজ ও সমাজ রক্ষা করার জন্য অচীরেই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। যেমন: মাদক হাটস্তান- দৌলতদিয়া পোড়াভিটা, যৌনপল্লি, স্টেশনের বিভিন্ন বোডিং, লঞ্চঘাট, তেলের পাম্প, ফেরীঘাট, গোয়ালন্দ রেলওয়ে পুলিশ ফাড়ির পাশে ও পুলিশের নাকের ডগায় মাদক ক্রয়-বিক্রয় হয় এতে কোন প্রশাসনের মাথাবেথা নেই। এ বিয়ষ নিয়ে হিরোন কুমার বিশ্বাসকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান আমি রাজবাড়ী জেলায় ১৫ বছর ধরে কনস্টেবল থেকে এস.আই. পদে উর্ত্তীর্ণ হয়ে আমি কর্মরত আছি প্রশাসন কে নিয়ে সাংবাদিকদের মাথা ঘামানোর কোন প্রয়োজন নেই। এখন আমি রাজবাড়ী জেলার বাসিন্দা। আমার উচ্চ মহলে বিশাল ক্ষমতাধারী হাত রয়েছে। তাই আমাকে নিয়ে কেউ নিউজ করুক বা না করুক আমি তা নিয়ে মাথা ঘামাই না। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন স্থানে- অন্তর মোড়, চড় আন্ধার মানিক, পাচুরিয়া রেল স্টেশন, মুকুন্দিয়া বাজার, রাজবাড়ী শহরের-রাশহাটার পাশে লেক পাড়, বিনোদপুর, গোলঘর এলাকা, রাজাবড়ী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, আলাদীপুর বাজার, মনসা-বটতলা, কুটির হাট , গোয়ালন্দ মোড়-বিস্কুটের বেকারী, গোয়ালন্দ মোড়-টেক্সটাইল মিল এর পাশে, বসন্তপুর হাটের পাশে, বসন্তপুর-বাজারের পাশে, খানখানাপুর-রারেক মার্কেটের সামনে, বেলগাছি-রেল স্টেশনে, সূর্য নগর, মাটিপাড়া-বাজারের পাশে, বানিয়াবহ-বাজার উল্লেখ্য যোগ্য। এভাবে বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জে মাদক ছরিয়ে পড়ছে। হিরোইন, ইয়াবা, ফেনসিড্রিল, গাজা এভাবে খোলা বাজারে ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে দেখার কেউ নেই । মরন ফাঁদে পড়ছে যুবসমাজ, ছাত্রসমাজ ও সমাজ। এ বিয়ষ নিয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণ নিরব। এ দিকে সরজমিনে দেখা যায় দৌলতদিয়া পরিবহন কোর্চ লাইনের আকিজ কোম্পানির খালি গাড়ি, আকিজ জুট, আকিজ সিমেন্ট, আকিজ ফুড, আকিজ তামুকজাতীয় প্রতিদিন গড়ে ৩০-৩৫টি গাড়ি পরিবহন লাইনে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ফেরী পাড়াপার হয়ে থাকে। এসব দেখার কেউ নেই। এছাড়াও দৌলতদিয়া পতিতালয়ের অবহেলিত মহিলারা যেন ধুকে-ধুকে মরছে। যৌন পল্লির ভেতরে নেই কোন ভাল ড্রেনেজ ব্যবস্থা, নেই কোন ভাল পরিবেশ। তাদের কথা যেন শোনার মত যেন কেউ নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *