দীর্ঘদিন ধরে হেড মাস্টারের নির্যাতনের শিকার আয়া


বাগাতিপাড়া (নাটোর): একজন শিক্ষকের আদর্শ ন্যায় পরায়নতা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষের জন্য দিক নির্দেশনা সরুপ। রক্ষকের বিরুদ্ধে যখন ভক্ষকের অভিযোগ হয়, তখন বিবেকবান মানুষ হতাশায় পড়ে! একজন মহিলা কোন্ পরিস্থিতিতে পড়লে নিজের সম্ভ্রম হারানোর কথা বলতে পারে, তা আমরা সকলেই ধারনা করতে পারি। অবিভাবক হিসেবে প্রতিষ্ঠান প্রধানের ভূল করা কাজের সংশোধন চাইলে যৌন নির্যাতন ও হয়রানীর শিকার হতে হয়েছে নাটোরের বাগাতিপাড়া বড়ালঘাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের আয়াকে।তবে অভিযুক্ত বড়ালঘাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুনসুর রহমানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বিকার করে দাবী করেন, ‘নির্যাতনের সব কথাই মিথ্যা। তার মেয়ের একটি বিষয় কোড ভুল হয়েছিল সত্য। আমি তা সমাধান করে দিতে চেয়েছি।’ যৌন হয়রানীর শিকার ওই প্রতিষ্ঠানের আয়া দাবী করেন, ‘আমার মেয়ে আগামী এসএসসি পরীক্ষার্থী। যে বিষয়গুলো নিয়ে সারা বছর পড়াশুনা করেছে, রেজিষ্টেশনে একটি বিষয় কোর্ড ভুল আসে। উচ্চতর গণিত না পড়লেও তা চলে আসে। আর হেড মাস্টারের ভূলের কারণে আমার মেয়ের বিষয় কোড ভূল হয়। তা সমাধানের জন্য একবছর আগে সময় নিলেও এখনও তা সংশোধন হয়নি। আমি টাকা দিতে চাইলে না নিয়ে সমাধান করতে চায়। পরে হেড মাস্টার আমাকে কু-প্রস্তাব দিয়ে বলে, আমার প্রস্তাবে রাজী হও তোমার টাকা লাগবে না। তার পরে টাকাও দেই। স্কুলে আসলেই খারাপ খারাপ কথা কয়। তার স্ত্রী ও সকল সারকে জানাই। সে টাইমস্কেলের বেলায় আমার সাথে খারাপ ইয়ে করে। আমাকে অত্যাচার করে, প্রায় ঝাড় দেয়ার সময় ঝাটা দিয়া হেড মাস্টারকে মারা লাগে। আমাক কৌশল করে বলে খারাপ প্রস্তাবে রাজি না হলে তোমার মেয়ের কাজ করে দিবনা। কাগজপাতি সব আমার হাতে, কেউ আমার কিচ্ছু করতে পারবে না। আমাকে দির্ঘদিন ধরে নির্যাতন করে হেড মাস্টার।’ প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির সভাপতি, শিক্ষক-কর্মচারী ও গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে অন-রেকর্ডে কথাগুলো কেঁদে কেঁদে বলছিল ওই প্রতিষ্ঠানের আয়া। বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয় এলাকার এমএইচওআর (আধাক্ষর) দাবী করেন, ‘প্রধান শিক্ষক মুনসুর রহমান একজন দুশ্চরিত্রের লোক এতে কোন সন্ধেহ নেই। তার বিারুদ্ধে এমন অভিযোগ আগেও শুনেছি। শিক্ষকতা পেশার মতো মহান পেশাকে যারা কুলোশিত করে তাদের শাস্তি হওয়া দরকার।’ উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হাবিবা খাতুন বলেন, ‘শিক্ষকরা আদর্শ, এমন ঘটনা খুবই নিন্দনীয় ও ঘৃনিত কাজ। এমন প্রধান শিক্ষককে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া প্রয়োজন। তাকে চাকুরীচ্যুত করা উচিত। ওই নরাীকে আমরা অবশ্যই সহযোগীতা করবো।’এ ব্যাপারে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রমজান আলী আকন্দ বলেন, ‘ ওই হেড মাস্টারের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া সাপেক্ষে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *