সুজানগরের নাজিরগঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে চলছে প্রায় একযুগ
সুজানগর (পাবনা) প্রতিনিধি: পাবনার সুজানগরের নাজিরগঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজের দীর্ঘ প্রায় এক যুগ যাবত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে চলছে শিক্ষাকার্যক্রম। নিয়মিত অধ্যক্ষকে দায়িত্ব পালন করতে না দেয়ায় কলেজের পাঠদানসহ প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যহত হওয়ায় অভিভাবক মহলে ব্যপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। খোজ নিয়ে জানা যায় ২০০৪ সালে উক্ত কলেজের তৎকালীণ নিয়মিত পরিচালনা কমিটি অধ্যক্ষসহ বেশ কয়েকটি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পূর্ণ করলেও শেষে অধ্যক্ষ পদ ছাড়া অন্য পদ গুলোতে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে নিয়োগ বাণিজ্যসহ বহুবিদ দূর্নীতি ও অসদাচরণের দায়ে পরিচালনা কমিটি প্রধান শিক্ষক সচিন্দ্রনাথ দাসকে ২০০৫ সালে চাকুরী থেকে বরখাস্ত করে প্রতিষ্ঠানের সহকারী প্রধান শিক্ষক নিজাম উদ্দীনকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক/অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর ২০০৬ সালে নিয়মিত পরিচালনা কমিটি বিধি মোতাবেক নিয়মিত অধ্যক্ষ হিসেবে নাদের হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে নিয়োগ দেন। উক্তনাদের হোসেন অধ্যক্ষ হিসেবে অত্যন্ত সুষ্ঠভাবে যথা নিয়মে কলেজের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলো। কিন্তু ২০০৯ সালে কলেজের নতুন কমিটি শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে নাদের হোসেনকে অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে কলেজ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তিতে কলেজের নতুন কমিটি চাকুরী বিধি উপেক্ষা করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিজাম উদ্দিন কে সরিয়ে কলেজের জুনিয়র প্রভাষক পল্টু কুমার সাহাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব দেন। দায়িত্ব দেওয়ার পর থেকেই তার বিরুদ্ধে জ্যেষ্ঠতা লংঘন এবং পরবর্তীতে দূর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগ করে আসছিলেন শিক্ষক ও এলাকাবাসী। এরই এক পর্যায়ে কলেজের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মৃত্যুঞ্জয় কুমার রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড বরাবর পল্টু কুমার সাহার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড পল্টু কুমার সাহাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব থেকে অপসারণ করে মৃত্যুঞ্জয় কুমারকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেন। দায়িত্ব দেয়ার বিষয়টি পল্টু কুমার সাহা চ্যলেঞ্জ করলে শিক্ষাবোর্ড মৃত্যুঞ্জয় কুমারের দায়িত্ব দেয়ার বিষয়টি বিধিসম্মত না হওয়ায় তা প্রত্যাহার করে নেন। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব অধ্যাবধি অবৈধভাবেইপালন করছেন মৃত্যুঞ্জয় কুমার। এলাকার সচেতন মহল এবং অভিভাবকবৃন্দ জানান নিয়মিত অধ্যক্ষ নাদের হোসেনকে দায়িত্ব পালন করতে না দেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের উচিৎ এলাকার প্রতিষ্ঠান ও কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীর স্বার্থে নিয়মিত অধ্যক্ষ কে দায়িত্ব পালনের সুযোগ দিয়ে এ সমস্যার আশু সমাধান করা। অভিভাবক মহল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারনে দীর্ঘ প্রায় একযুগ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে কলেজের কার্যক্রম চলায় প্রশাসনিক ব্যবস্থা একেবারেই ভেঙ্গে পড়েছে। ফলে ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদান ভীষণভাবে ব্যহত হচ্ছে। এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষমৃত্যুঞ্জয় কুমার বলেন অধ্যক্ষ নিয়োগ সংক্রান্ত কোর্ট মামলা থাকায় নিয়োগের কার্যক্রম সম্পূর্ন করা যাচ্ছে না।