মিটারবিহীন বিদ্যুৎ অপচয়ী ইলেকট্রিক পিলারে ঝুলন্ত এ্যামপ্লিফায়ার
জেলা (জামালপুর) প্রতিনিধি: বহু পন্থার বিদ্যুৎ ঘাটতির মধ্যে সরিষাবাড়ীতে যে জনদূর্ভোগের সৃষ্টি করছে তার অনেকাংশেই দ্বায়ী সরিষাবড়ী ক্যাবল নেটওয়ার্ক। যুগের পর যুগ ধরে ইলেক্ট্রিক বস্তুর এ্যামপ্লিফায়ার মিটার বিহীন পন্থায় ইলেক্ট্রিক পিলারে ঝুলিয়ে প্রতিনিয়ত প্রায় ২ হাজার ৪’শ ইউনিট বিদ্যুৎ অপচয় করছে বলে অনুসন্ধান মহলের তথ্য-উপাত্ত্বে উঠে এসেছে। অপ্রতিযোগীতামূলক মনগড়া নিতীর প্রজ্ঞায় বহু লাইসেন্সের (নেটওয়ার্ক জনিত লাইসেন্স সমূহ) কর ফাঁকিতে রয়েছে সরিষাবাড়ী ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্ক। জানা গেছে অপনীতির প্ররোচনায় অতিরিক্ত ক্যাবল চার্জ দাবী করে জনসাধারণের অহরহ ক্যাবল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করণে জনদূর্ভোগও সৃষ্টি করছে। যার ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ায় প্রাক্তন মেলেটারি পুলিশের পরিচয় দিয়ে দাম্ভিকতা পোষণ করছে সমন্বয়কারী প্রধান। অনুসন্ধান মহলের তথ্য-উপাত্ত্বে বলা হয়েছে সরিষাবাড়ী উপজেলাস্থ ইলেক্ট্রিক পিলারে ঝুলন্ত এ্যামপ্লিফায়ার ( যার সংখ্যা প্রায় ৫হাজার,প্রতিটি এ্যামপ্লিফায়ার ২০ ওয়াট) প্রতিদিন ২হাজার ৪’শ ইউনিট বিদ্যুৎ ঘাটতি হিসেবে সরকারকে যে রাজস্বফাঁকিতে ফেলছে তার আর্থিক রাজস্বফাঁকি দুইযুগে প্রায় ৩৩ কোটি টাকা। যে বিদ্যুৎ ঘাটতির সমন্বয় সাধনে লোডশেডিং এর মত দূর্বিসহ যন্ত্রনাও পোহাতে হচ্ছে সরিষাবাড়ী বাসীর। অথচ,এমন রাজস্বফাঁকির বিষয়কে উঠিয়ে আনতে সক্ষম হতে পারেনি কোন মহল। অনুসন্ধানে জানা যায়, রাজস্বফাঁকী তথা বিদ্যুৎ ঘাটতিকে চলমান রেখে ক্যাবল টিভি নেটওর্য়াকের সেবাকে শিল্পখাত হিসেবে দাবি করার ঘোষণা অত্যন্ত গর্হিত বলে মনে করছে অনুসন্ধিৎসু গবেষক মহল। একমুখী পক্ষপাতীত্যে ক্যাবল টিভি নেটওর্য়াক জনদূর্ভোগ সৃষ্টি তথা সরকারকে ফাঁকী দেওয়ার কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কখনও শিল্পায়ণে পরিনত হতে পারে বলে মনে করেননা দেশটির বিজ্ঞমহল। বাংলাদেশ টেলিভিশনের আওতায় দেশটির তথ্য মন্ত্রনালয় যে সেটেলাইট লাইসেন্সিকরণের দ্বায়ভার অর্পন করেছিলেন তার যথাপোযুক্ত তথ্যের অভাবে চরম বিদ্যুৎ ঘাটতি তথা রাজস্বফাঁকীতে পড়ছে দেশটির সরকার। টেলিভিশনের বাৎসরিক লাইসেন্সিকরণকে বর্জন করলেও ক্যাবল নেটওয়ার্কের লাইসেন্সিকরণকে বদ্ধপরিকর নীতিমালায় ধরে রেখেছেন সরকার। সে লাইসেন্সিকরণের উদাসীন নজরদারীর কারণে প্রকৃত আয়কর উত্তোলন থেকেও বঞ্চিত বলে অনুসন্ধিৎসু গবেষনায় জানানো হয়। উপজেলা ভিত্তিক ক্যাবল নেটওয়ার্কের মালিক সমিতির সমন্বয়ের একটি মাত্র লাইসেন্সিকরণ দৃশ্যমানে (অপ্রতিযোগীতামূলক) রেখে পুরো অঞ্চল ভিত্তিক ক্যাবল নেটওয়ার্কের ব্যবসা করে যাচ্ছে বলে তথ্য-উপাত্ত্বে উঠে এসেছে। অথচ, প্রতিযোগীতোমূলক নেটওয়ার্কের সংবিধিবদ্ধ নীতিমালা থাকলে প্রতিটি উপজেলা অঞ্চল থেকে সরকার কমপক্ষে দশটি লাইসেন্স এর আয়কর উত্তোলনে সমর্থ হতে পারত এবং জনদূর্ভোগ লাঘবে সহায়ক নীতিমালা হিসেবে প্রাধান্যও বহন করত। ১৯৯০ সালের মধ্যে প্রত্যন্ত অঞ্চল গুলোতে ক্যাবল নেটওয়ার্কের সমাগম শুরু হলেও অঞ্চল ভিত্তিক প্রভাবশালী অর্থশীলদের মধ্যে ক্যাবল নেটওয়ার্কের মালিকানার ভিত্তিতে এ প্রকল্পটির পরিচালনার জন্য জেলা কিংবা উপজেলা ভিত্তিক নয় বরং একটি গন্ডিবদ্ধ অঞ্চলকে (গ্রাম,মহল্লা কিংবা ইউনিয়ন) ১৯৯১-৯২ সাল থেকে অনুমোদন দিয়ে আসছিল বাংলাদেশ টেলিভিশন তথা তথ্য মন্ত্রনালয় বলে গবেষণা উপাত্ত্বে সুক্ষ্ম অনুমান করা হয়েছে। কিন্তু একটি উপজেলাতে কমপক্ষে দশজন ক্যাবলনেট মালিকানার সেন্ডিকেট সৃষ্টি করে তারা জনদূর্ভোগ তথা সরকারের রাজস্বফাঁকীর পায়তারায় লিপ্ত রয়েছে প্রায় দুই যুগ ধরে বলেও গবেষণা উপাত্ত্বে উল্লেখ করা হয়েছে। যেখানে সরকারের রাজস্ব উত্তোলন তথা আঞ্চলিক কর বর্দ্ধিত করণের স¦ার্থে দশজন নেট মালিক বিভক্তাকারের প্রতিযোগীতামূলক (যে নীতি জনদূর্ভোগ লাঘবে সহায়ক) দশটি অঞ্চল ভিত্তিক ক্যাবল নেট প্রকল্প চালানোর লাইসেন্সিকরণের আয়কর দেওয়ার কথা। অথচ,দশজন মালিকের সমন্বয় মাত্র একটি লাইসেন্সে পুরো উপজেলা অঞ্চল ব্যবাহারের বৈধতা সরকারের পক্ষের বিচারিক প্রক্রিয়ায় আইন সঙ্গত হবার কথাও নয়। তাছাড়া উপজেলা ভিত্তিক ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্ক পরিচালনার জন্য যে বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয় তা মিটারবিহীন অপচয় করে আসছে প্রায় দুই যুগেরও অধিক সময় ধরে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) নজরদারির বাইরে জামালপুর জেলার একটি (সরিষাবাড়ী) উপজেলাতে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২ হাজার ৪’শ ইউনিট বিদ্যুৎ ঘাটতির সৃষ্টি করছে বলে সমীক্ষা জরিপে উঠে এসেছে। যে উপজেলা ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্ক প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২ হাজার ৪’শ ইউনিট বিদ্যুৎ মিটারবিহীন অপচয় করছে। সমগ্র সরিষাবাড়ী উপজেলার সরকারি ইলেকট্রিক পিলারে প্রায় ২০ ওয়াট মানের কমপক্ষে ৫ হাজার দৃশ্যমান ইলেকট্রিক চালিত বস্তুর এমপ্লিফায়ার ঝুলন্ত অবস্থায় মিটারবিহীন বিদ্যুৎ অপচয়ের অভিযোগ এমন তথ্য-উপাত্ত্বের সৃষ্টি করেছে। ৫টি এমপ্লিফায়ার (ইলেকট্রিক চালিত বস্তু) প্রতি ১০ ঘন্টায় এক (০১) ইউনিট বিদ্যুৎ অপচয় করছে এবং একটি উপজেলার অনুসন্ধানমূলক গবেষণা থেকে সমগ্র দেশটির উপজেলাগুলোকে একই শংকায় বিদ্যুৎ ঘাটতি তথা রাজস্বফাঁকীর সমীক্ষা জরিপের সিদ্বান্তে উপনিত হয়েছেন অনুসন্ধান মহল। কন্ট্রোলরুম ব্যতিত উপজেলা ভিত্তিক ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্ক পরিচালনার জন্য যে বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয় তা মিটারবিহীন বিদ্যুৎ অপচয় করে আসছে প্রায় দুই যুগেরও অধিক সময় ধরে। সরিষাবাড়ী ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্ক ২ হাজার ৪’শ ইউনিট বিদ্যুৎ প্রতিদিন মিটারবিহীন অপচয় করে থাকলে দুই যুগে প্রায় ২ কোটি ১১ লক্ষ ইউনিট বিদ্যুৎ ঘাটতিতে ফেলেছে সরকারকে এবং দুই যুগের গড় বিদ্যুৎ অপচয়ের রাজস্বফাঁকী (১৯৯০-২০০১ সাল পর্যন্ত বানিজ্যিক বিদ্যুৎ বিল ৫ টাকা হারে) প্রায় ১১ কোটি টাকা ও (২০০২-২০১৬ সাল পর্যন্ত এক যুগেরও অধিক সময়ের গড় আনুপাতিক বানিজ্যিক বিল ১০ টাকা হারে) প্রায় ২২ কোটি টাকা। যার মোট বিদ্যুৎ ঘাটতির রাজস্বফাঁকী প্রায় ৩৩ কোটি টাকা। একই শংকায় দুই যুগেরও অধিক সময়ে সমগ্র বাংলাদেশ ক্যাবল নেটওয়ার্ক বিদ্যুৎ ঘাটতি ও রাজস্বফাঁকীতে ফেলেছে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা। যে বিদ্যুৎ ঘাটতির অপচয়ী অর্থ বৈধ বিদ্যৎ অপচয়কারী গ্রাহকের নিকট থেকে দুই যুগে দেশটির সরকার আদায় করতে পারত প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা। যা সেটেলাইট লাইসেন্সিকরণের ফি উত্তোলনের চেয়ে বহু গুণে বেশিই রাজস্বফাঁকী এবং সরাকারে সাথে এক মহা প্রহসন বটে। বৈশ্বিক ক্যাবল নেটের নীতিগত গ্রহণযোগ্যতায় বাংলাদেশ ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্ক একটি দূর্নীতিগ্রস্থ প্রতিষ্ঠান হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে বলে অনুসন্ধান মহলের ধারনা। শিল্পায়নে ঘোষিত হবার যোগ্যতা বাংলাদেশ ক্যাবল নেটওয়ার্কের কতটুকু রয়েছে দেশটির জনগণ ও সরকার তার রায়ও ঘোষনা করবেন বলে আশাবাদী তারা। যার অনুসন্ধানে এখনও পর্যন্ত কোনো গোয়েন্দা নজরদারি তথা গণমাধ্যমকেও উৎসুক বলে পরিলক্ষিত হয়নি। অপ্রতিযোগীতামূলক লাইসেন্সিকরণ এর অনুমোদন তথা ইলেকট্রিক পিলারে সারাদেশে প্রায় ২০ ওয়াটের দৃশ্যমান অসংখ্য ঝুলন্ত এমপ্লিফায়ার সরকারের রাজস্বফাঁকী তথা জনদূর্ভোগ চরমে তুলেছে বলে জনমত জরিপেও প্রাধান্য পেয়েছে। যে বিদ্যুৎ ঘাটতিকে সমতায় আনতে লোড শেডিং এর মতো দূর্বিসহ ষন্ত্রনাও পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। যার প্রতিকার অত্যন্ত জরুরি বলে জানান সাধারণ জনগন তথা বৈধ বিদ্যুৎ অপচয়কারীরা।এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক এক পিডিপির প্রকৌশলী কর্মকর্তা জানান, ‘‘ঝুলন্ত এ্যামপ্লিফায়ার ক্যাবলনেটের প্রভাশালীদের আওতাভুক্ত। সম্প্রতি যোগদানের কর্মকান্ডে এই রকম বিদ্যুৎ ঘাটতির বিষয়টিকেও নজরদারীতে আনবো’’। কিন্তু সরিষাবাড়ী বিদ্যুৎ উন্নয় বোর্ডের নজরদারীতে দূর্বল ভিত্তির বিদ্যুৎ ঘাটতির অপচয়কে অনুধাবনও করেনি তারা। দুইযুগে প্রায় ৩৩ কোটি টাকার রাজস্বফাঁকিতে চলমান সরিষাবাড়ী ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্ক সরকারের কোন্ আয়কর প্রদানের সন্ধিতে রয়েছে তার প্রকাশ করার প্রজ্ঞাপনজারির কথা জানিয়েছেন অনুসন্ধানী সচেতন মহল। দেশটির তথ্যমন্ত্রনালয়,জাতীয় রাজস্ববোর্ড,বিদ্যুৎ উন্নয়বোর্ড,গণমাধ্যম,দুদক তথা প্রসাশন ও জনপ্রসাশন সরকারের কলুশমুক্ত করণের দ্বায়ভার গ্রহণে বদ্ধপরিকর পন্থা অবলম্বন করতে অনুসন্ধান মহল কর্তৃক বিশেষভাবে অনুরোধ