সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পরে শীতের তীব্রতা কমতে শুরু করেছে
দেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পরে শীতের তীব্রতা কমতে শুরু করে দিনদিন তাপমাত্রা কিছুটা বাড়ছে। তবে কুয়াশা ও শীতের হিমেল হাওয়া এখনও রয়েছে। দেশের সর্বনিন্ম তাপমাত্রা বৃহস্পতিবার রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সারাদেশে সকাল থেকে সূর্যের দেখা না মিললেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্য জানান দিচ্ছে তার উপস্থিতি। দিন যতো যাবো ততো তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।আবহাওয়াবিদ মো. আবুল কালাম মল্লিক বলেন. ‘রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, রংপুর বিভাগের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র থেকে মাঝারি শৈত্য প্রবাহ। প্রতিদিনই উন্নতি হচ্ছে তাপমাত্রার।’তিনি আরও বলেন, বুধবার থেকেই সারাদেশে তাপমাত্রার উন্নতি হয়েছে। প্রতিদিনই বাড়ছে ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। এভাবে দিন যতো যাবো ততো তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে।দেশের সর্বনিন্ম তাপমাত্রা বৃহস্পতিবার রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে সাতক্ষীরায় ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। শীতের জেলা রাজশাহীতে তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানী ঢাকায় বিরাজ করছে ১১দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।এদিকে প্রকৃতির এ খামখেয়ালিপনায় আড়ষ্ট সারাদেশ। বিশেষ করে দরিদ্র মানুষের কষ্ট উঠেছে চরমে। এছাড়া শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে হাসপাতালগুলোতে। হাসপাতালে শয্যা না পেয়ে তীব্র শীতের মধ্যে অনেকের ঠাঁই হচ্ছে বারান্দার মেঝেতে। রোগীর সাথে সাথে দুর্ভোগ পোহোচ্ছে রোগীর স্বজনরাও। অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানা যায়, সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, কুয়াশার দাপট আরো কয়েকদিন বজায় থাকতে পারে।