আদমদীঘিতে প্রচন্ড শীতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে গেছে
আদমদীঘি প্রতিনিধি: বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় প্রচন্ড শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শীত বস্ত্রের অভাবে দুস্থ ও হত দরিদ্র মানুষের কষ্ঠ বেড়েছে। অনেক দরিদ্র পরিবারের শিশু গরম কাপড়ের অভাবে স্কুল, মাদ্রাসায় যাচ্ছে না। এ কারনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার কমেছে। উপজেলার বিভিন্ন স্কুল ও মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বছরের শুরুতে নতুন বই পাওয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে উপস্থিতির হার ছিল ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ। কিন্তু মঙ্গলবার দেখা গেছে উপস্থিতির হার ৩০ থেকে ৪০ শতাংশে নেমে আসে। গরম কাপড় না থাকায় শীতে অনেক দরিদ্র শিশু স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। সান্তাহার পৌর সভার ৪নং ওয়ার্ডের বি পি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মিসেস খালেদা খানম জানান, শৈত্য প্রবাহ ও ঘন কুয়াশায় মানুষের কষ্ঠ বেড়েছে। গরম কাপড়ের অভাবে গরিব পরিবারের শিশুরা বিদ্যালয়ে আসছে না। গতকাল তাঁর স্কুলে ৩৫০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ১৫০ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে প্রায় ৭০-৭৫ হাজার গরিব পরিবার আছে। এসব পরিবারের অধিকাংশ শিশুর গরম কাপড়ের অভাব। প্রচন্ড শীত ও ঘন কুয়াশায় অনেক শিশু স্কুলে আসছে না। চাপাপুর ইউনিয়নের হরিণমারা গ্রামের দিনমজুর মানিক মিয়া বলেন, মেলা ঠান্ডায় জীবন বাচিচ্ছে না। হামাকের খুব কষ্ঠ। ঠান্ডার কারনত ছালালোক আজ স্কুলোত পাঠাই নি। আদমদিঘী রহিমউদ্দীন ডিগ্রি কলেজের অধক্ষ্য আব্দুর রহমান বলেন, শীত বেড়ে যাওয়ায় লোকজন একান্ত কাজ ছাড়া বাইরে বের হচ্ছে না। এই কারনে কলেজের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও কমেছে। এদিকে হাড় কাঁপানো শীতে এলাকার স্বাভাবিক জীবন যাত্রা অচল হয়ে পড়েছে। রাতে ঝিরঝির বৃষ্ঠির মতো শিশির পড়ছে। দরিদ্র, ছিন্নমূল ও নি¤œ আয়ের মানুষের জীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ। এদিকে প্রচন্ড শীতের কারনে এলাকার অসুখ বেড়ে গেছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। হাসপাতাল ও বিভিন্ন ডাক্তারের কাছে ঠান্ডা জনিত রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে।সান্তাহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এরশাদুল হক টুলু বলেন, এই এলাকায় প্রচন্ড শীত পড়েছে। আমার ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে এ পযর্ন্ত ২৫০ টি কম্বল দরিদ্র মানুষের মাঝে বিতরন করেছি। এই উপজেলার প্রতিটি চেয়ারম্যান আমার মতো কম্বল ছিন্নমূল মানুষের মাঝে বিতরন করেছে।