বঙ্গবন্ধু স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে আলোচনা সভায় কয়রা’য় আ’লীগের আদিপত্ত বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের হামলায় গুরুত্বর জখম ৯

sdr

কয়রা প্রতিনিধি: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে কয়রা উপজেলা আ’লীগের দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা চলাকালে আদিপত্ত বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের অতর্কিত হামলায় ৯ জন মারাত্মক জখম হয়ে জায়গীরমহল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এরমধ্যে ৫ জনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানাগেছে। আহতরা হলেন ১। কোহিনুর আলম (৩৪), ২। তরিকুল ইসলাম (২৭), ৩। সোহরাব হোসেন (৩৫), ৪। রিপন (২০), ৫। মাওলা বক্স (৩২), ৬। মোজাফ্ফার (৩৩০, ৭। সাংবাদিক জাকারিয়া (৩০), ৮। রবিউল (২৮), ৯। রায়হান (২৫)। উল্লেখ্য উপজেলা আ’লীগের দলীয় কার্যালয়ে দিবসটির উপর আলোচনা সভা শুরুর কিছুক্ষন পর খুলনা জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জামালকে সাথে নিয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান দিদার ও সম্পাদক আলামিন এর নেতৃত্বে ছাত্রলীগের কর্মীরা মিছিল সহকারে দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করে। এসময় ছাত্রলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা চাইনিজ কুড়াল, হাতুড়ে ও লোহার রড দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় প্রতিপক্ষের উপর এবং মুহুত্বের মধ্যে আলোচনা সভা বন্ধ হয়ে দিক বিদিক ছোটাছুটি শুরু করে নেতাকর্মীরা। তবে দলীয় কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত পাইকগাছা সার্কেল অফিসার মোঃ ইব্রাহিম ও কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনামুল হক সহ ১০/১২ জন পুলিশ উপস্থিত ছিলেন এবং তারা সকলেই ছুটে গিয়ে আহতদের উদ্ধার সহ ছাত্রলীগ কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। উপজেলা আ’লীগের সভাপতি জি.এম মোহসিন রেজা সাংবাদিকদের জানান, শান্তিপূর্ন ভাবে দলের জাতীয় কর্মসূচী পালনের লক্ষ্যে সকল নেতাকর্মীকে নিয়ে আলোচনা সভা চলছিল। কিন্তু জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জামাল আমাকে না জানিয়ে আকর্ষিক ভাবে ছাত্রলীগের কর্মীদের সাথে নিয়ে দলীয় সভা স্থলে প্রবেশ করে এবং তার পিছনে থাকা ছাত্রলীগ নেতারা সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালিয়ে ৯ জন নেতাকর্মীকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। তিনি বলেন পরিকল্পিত ভাবে জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক জামাল ছাত্রলীগ দ্বারা এই হামলা চালিয়েছে এবং জাতীয় কর্মসূচী পন্ডকরে ঘটনার ১৫ মিঃ পরেই পুলিশের সহযোগীতায় কয়রা ত্যাগ করেছেন। তিনি আরও বলেন স্থানীয় আ’লীগের বিদ্রোহী গ্রুপের কয়েকজন নেতাকর্মী সহযোগীতায় এই হামলা চালানো হয়েছে। সে জন্য তিনি এই নেক্কার জনক ঘটনার জন্য কামরুজ্জামানকে দায়ি করেছেন। এদিকে খবর নিয়ে জানাগেছে আহত ৫ জনের অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় খুলনায় প্রেরণ করা হয়েছে এবং ৪ জন জায়গীরমহল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এ বিষয়ে কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনামুল হক এর সাথে কথা বলে জানাগেছে ঘটনার বিষয়ে থানায় কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশ সার্বক্ষনিক তৎপর আছে এবং আর কোন ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য তিনি নিজেই সার্বক্ষনিক তদারকি করছেন। অপর দিকে জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জামাল এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে স্থানীয় আওয়ামী বিদ্রোহী গ্রুপে জনৈক ইউ.পি চেয়ারম্যান আঃ সাত্তার পাড় জানান ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে এবং দু’গ্রুপের কমবেশি আহত হয়েছে। তিনি বলেন জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জামাল এ ঘটনার সাথে জড়িত নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *