কাহালু টিএন বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
কাহালু (বগুড়া) সংবাদদাতা: বগুড়ার কাহালু টি এন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও নারহট্ট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে “জুপিটার প্রকাশনীর” সাথে অনৈতিক চুক্তি করে লক্ষ লক্ষ টাকার দূর্নীতির অভিযোগ। প্রতিকার চেয়ে অভিভাবকদের পক্ষ হতে দুদকসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ।অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, কাহালু উপজেলায় ৬ষ্ঠ শ্রেণী হতে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার ছাত্র/ছাত্রী লেখা-পড়া করে। সরকার শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় পাঠ্য বই বিনামুল্যে সরবরাহ করে থাকেন। তার পরও কাহালু টি এন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির আহবায়ক বেলাল উদ্দিন প্রাং ও নারহট্ট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবু রেজার নেতৃত্বে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান প্রধানগণের সহযোগীতায় শিক্ষার্থীদের উক্ত “জুপিটার প্রকাশনীর” গ্রামার ও ব্যাকরণ বই বাধ্যতা মূলক ভাবে ক্রয় করতে বাধ্য করেছেন। আর এরজন্য উক্ত শিক্ষক দ্বয় জুপিটার প্রকাশনীর সাথে গোপনে ১৮ লক্ষ টাকার অনৈতিক চুক্তি করেছেন। অন্যান্য প্রকাশনীর অনুরূপ দুটি বইয়ের মূল্য বাজারে সাড়ে ৩ শ’ থেকে ৪ শ’ টাকা হলেও জুপিটার প্রকাশনী উল্লেখিত দু’টির বইয়ের মূল্য নিদ্ধারণ করেছে প্রায় এক হাজার টাকা। যা শিক্ষার্থীদের ক্রয় করে দিতে অভিভাবক মহল হিম্সিম খাচ্ছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দূর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ জানিয়েছেন। বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে,উক্ত দূর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন অভিভাবক সমাজে পক্ষে জনৈক আব্দুর রহিম নামক অভিভাবক। যার কপি দূর্নীত দমন কমিশন, কাহালু উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে দায়ের করেছেন। এ বিষয় নিয়ে কাহালু টি এন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের উক্ত প্রধান শিক্ষক বেলাল উদ্দিন প্রাং এর সাথে মোবাইলে কথা বলা হলে তিনি বলেন অভিযোগটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আর আব্দুর রহিম নামক ঐ অভিভাবককে আমি চিনিই না। কাহালু উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরাফাত রহমান এর সাথে বিষয়টি নিয়ে মোবাইলে কথা বলা হলে তিনি অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করেন। এবং বিষয়টি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এই অভিযোগের সংবাদ স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশ হলে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। অভিযোগটি ধামা-চাপা দিতে উক্ত প্রধান শিক্ষক গত বৃহস্পতিবার শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দকে ডেকে তাদের মাধ্যমে বিভিন্ন মহলে চেষ্ঠা তদরী অব্যহৃত রাখার পাশাপাশী উক্ত প্রধান শিক্ষক তার ছেলেসহ কতিপয় যুবক পাঠিয়ে সাংবাদিককে ভিভিন্ন ভাবে হুমকী প্রদান করে যাচ্ছেন।