নির্বাচনে অংশ না নিলে বিএনপি বিরল প্রজাতির প্রাণীর মতো বিলুপ্ত হয়ে যাবে ; ওবায়দুল কাদের
আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ না নিলে বিএনপি বিরল প্রজাতির প্রাণীর মতো বিলুপ্ত হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক জনসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এর আয়োজন করে।৫ জানুয়ারি গণতন্ত্রের জন্য বিজয় দিবস আর বিএনপির জন্য রাজনৈতিক আত্মহত্যা দিসব বলেও মন্তব্য করেন কাদের। তিনি বলেন,‘ যদি বিএনপি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো আগামী নির্বাচনে অংশ না নেয়, তাহলে বিরল প্রজাতির প্রাণীর মতো বিলুপ্ত হয়ে যাবে। বর্তমানে বিএনপির অবস্থা মুসলিম লীগের চেয়েও খারাপ।’সড়ক মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির নেতারা বলে কর্মীরা মাঠে নামে না। অন্যদিকে কর্মীরা বলে নেতারা মাঠে নামে না। আগামীকাল নাকি বিএনপি বিভোক্ষ ডেকেছে। সেই বিক্ষোভ কে করবে? বিগত নয় বছরে রাস্তা ঘাটে কেউ বিক্ষোভ করেনি। তবে মাঝে মধ্যে বিএনপির যদি কোনও কর্মী বিভোক্ষ করেও থাকে কিন্তু বিএনপির নেতারা বাড়িতে বসে হিন্দি ছবি দেখে সময় কাটান। আর ঘরে বসে খবর নেয় পুলিশ গরম না নরম।’পদ্মা সেতু নিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার মন্তব্যের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তিনি উঠবেন না পদ্মা সেতুতে। যদি পদ্মা সেতুতে না ওঠেন তাহলে ফেরিতে ওঠেন। পদ্মা সেতু জোড়া তো লাগবেই। খালেদা জিয়া মামলা হাজিরা দিতে দিতে মাথা নষ্ট হয়ে গেছে। জোড়া ছাড়া কি পদ্মা সেতু হয়?’সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়া আরেক বার বলেছিল সাবমেরনি নাকি ডুবে গেছে। সাবমেরিন কি ভাসে? সাবমেরিন তো ডুবেই থাকে। তিনি কি ভাসমান সাবমেরিন দেখতে চেয়েছিলেন?’বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা অবৈধ ড.কামাল হোসেনের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘আইপিও, সিপিএ যেখানে স্বীকৃতি দিয়েছে সেখানে আর স্বীকৃতির দরকার আছে?’
নির্বাচনের ট্রেন বিএনপির জন্য থেমে থাকবে না মন্তব্য করে কাদের বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে আসেতই হবে। যদি না আসে তাহলে রাজনৈতিক আত্মহত্যার পুনরাবৃত্তি হবে।’বিএনপির নেতা মওদুদ আহমেদ ব্যাঙের মত লাফায় মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘৪০ বছর বাড়ি দখল করে রেখেছিল। একটা বাড়ি রক্ষা করার জন্য আইনমন্ত্রী হয়েও আদালতের কাছে ভুয়া কাগজ পত্র দিয়েছিল। তাদের কাছে কিভাবে দেশ নিরাপদে থাকবে?’বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে হবে বলেও দাবি করেন ওবায়দুল কাদের। এসময় তিনি নৌকার স্লোগান দিয়ে বক্তব্য শেষ করেন।এর আগে বিকেল ৩টায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ,স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা সমাবেত হন বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে। এর পরপরই শুরু হয় গণতন্ত্র বিজয় দিবসের সমাবেশ।ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, একেএম এনামুল হক শামীম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোরশেদ কামাল, ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ প্রমুখ।