বাগাতিপাড়ায় হাল লাগানো গাড়ী চলাচল করায় ক্ষতি হচ্ছে পাকা রাস্তা
বাগাতিপাড়া (নাটোর): জেলার বাাগাতিপাড়ায় বিভিন্ন সড়কে গরু-মহিষের হাল লাগানো গাড়ি চলাচল করায় প্রতি নিয়তই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পাকা রাস্তাগুলো। আইন থাকলেও প্রশাসনের পক্ষে নেই কোন সচেতনতা মূলক প্রচার বা পদক্ষেপ গ্রহন। সূত্রে জানা যায়, বাগাতিপাড়া পৌরসভা সহ উপজেলাতে প্রায় ২শ’ কিলোমিটার পাকা রাস্তা রয়েছে। নাটোর-বাগাতিপাড়া প্রধান সড়ক, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও গ্রামের রাস্তায় প্রায় প্রতিনিয়তই চলছে গরু-মহিষের হাল লাগানো গাড়ী। তাতে করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পাকা রাস্তাগুলো। পাকা রাস্তায় গরু-মহিষের হাল লাগানো চাকা, পাওয়ার ট্রিলারের লোহার চাকা ব্যবহারে মানা-নিষেধ থাকলেও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তা দেখভাল করা হয় না বলে অভিযোগ উঠেছে। অথচও সংস্কার করার কয়েক দিনের মাথায় রাস্তা থেকে পাথর উঠে যাচ্ছে অনেক রাস্তাতেই। কর্তাব্যক্তিগণ ওই সকল গাড়িকেই দোষারোপ করছেন। তাহলে জনসচেতনতায় প্রচার ও আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহনের উদ্যোগর দায় কার? এমনটি জিজ্ঞাসা এলাকার সচেতন মহলের।হাল লাগানো গাড়ীর চাকা ব্যবহারে রাস্তা ক্ষতির দায় স্বীকার করে (মহিষের) গাড়ীয়াল নিজাম উদ্দিন (০১৯৩৩৯৬৮৬৭১) দাবী করেন, ‘গাড়ীর চাকায় হাল লাগানো থাকলে পাকা রাস্তায় চলা নিষেধ এমন কথাতো আমরা জানি না। আমরাতো পুলিশের সামনে গাড়ী চালাই তারাতো কিছু বলেনা।’ তবে এতেকরে রাস্তার যে ব্যপক ক্ষতি হয়, তা অকোপটে স্বীকার করেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে নাটোর জজকোর্ট’র এ্যডভোকেট হাসান শৈকত জানান, ‘গরু মহিষের গাড়ীতে হাল লাগানো চাকা ব্যবহার করায় রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এটা দেখভালের দায়িত্ব নির্বাহী বিভাগ তথা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। আমাদের পাশের উপজেলা চারঘাটে রাস্তায় কোন্ ধরণের যানবাহন চলাচলে নিষেধ আছে, সে বিষয়ে জনসচেতনতামূলক সাইনবোর্ড দেওয়া রয়েছে। কিন্তু বাগাতিপাড়ায় তাও দেখা যায় না।’ এব্যাপারে বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও এসিল্যান্ড মেরিনা সুলতানা বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে সরকারী কোন নির্দেশনা আছে কি না তা আমার জানা নেই। তবে রাস্তার ক্ষয়ক্ষতি হয় এমন কর্মকান্ড না করতে পৌরসভা সহ সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের মাইকিং করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’