বেনাপোল চেকপোস্টে তুচ্ছ ঘটনায় ইমিগ্রেশন পুলিশ ও কাস্টমস কর্মকর্তাদের মধ্যে মারামারি ও ভাংচুর ঘটনায় ৫ কাস্টমস কর্মকর্তা আহত : প্রতিবাদে দুদেশের মধ্যে আমদানি রপ্তানি বনিজ্য বন্ধ
বেনাপোল সংবাদদাতা: বেনাপোল চেকপোস্টে আজ বুধবার সন্ধ্যায় তুচ্ছ ঘটনায় ইমিগ্রেশন পুলিশ ও কাস্টমস কর্মকর্তাদের মধ্যে মারামারি ও ভাংচুর ঘটনায় ৫ কাস্টমস কর্মকর্তা আহত হযেছে। প্রতিবাদে বেনাপোল বন্দর দিয়ে দুদেশের মধ্যে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ সহ বন্দর থেকে সব ধরনের মালামাল খালাশ প্রক্রিয়া বন্ধ করে দিয়েছে কাস্টমস অফিসার্স এসোশিয়েশন।কাস্টমস অফিসার্স এসোশিয়েশনের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাঙ্গালী জানান, সন্ধ্যায় ইমিগ্রেশন পুলিশের এক কর্মকর্তা ভারত থেকে ২ জন ল্যাগেজ পার্টি নিয়ে বিনা তল্লাশীতে কাস্টমস পার করার সময় কাস্টমস কর্মকর্তারা বাধা দেয়।এদিওক যাত্রীর নাম শাখাওয়াত হোসেন। পাসপোর্ট নং- ইগ০৭০৫৭২০ যাত্রী যথারিথী কাস্টম কাউন্টাওে আসেন।গোপন সংবাদ থাকা তথ্য মোতাবেক যাত্রী ও ব্যাগের বর্ণনায় মিল পাওয়ায় রাশেদুর রহমান যাত্রী শাখাওয়াত কে কাস্টম তল্লাশীর জন্য ব্যাগ উপস্থাপন করতে অনুরোধ করেন।যাত্রী বলেন এই ব্যাগ চেক করা যাবেনা এটি ওমর শরীফের ব্যাগ। এ ঘটনায় পুলিশ ও কাস্টমস এর মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হলে ওসি ওমর শরীফের নেতৃত্বে ৪/৫ জন পুলিশ এসে কাস্টমস কর্মকর্তাদের ওপর হামলা চালায় এবং অফিস ভাংচুর করে। পুলিশের হামলায় সুপারিনটেনডেন্ট সুভাশিষ বাবু, সুপারিনটেনডেন্ট নজরুল ইসলাম বাঙ্গালী, ইন্সপেক্টর ফরহাদ রেজা, ইনসপেক্টর মামুনুল হক ও ইন্সপেক্টর ইকবাল হোসেন আহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে কাস্টমস অফিসার্স এসোশিয়েশন দুদেশের মধ্যে আমদানি রফতানি বানিজ্য সহ বন্দর থেকে সবধরনের মালামাল খালাশ বন্ধ করে দেয়।এদিকে বেনাপোল চেকপোস্ট পুলিশ ইমিগ্রেশনের ওসি ওমর শরীফ জানান, সন্ধ্যায় তিনি পাসপোর্ট যাত্রীদের খোজ খবর নিতে কাস্টমস তল্লাশী কেন্দ্রে গেলে কাস্টমস কর্মকর্তারা তাকে ধাক্কা দিলে কাস্টমস ও পুলিশ ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের মাঝে হতাহাতি শুরু হয়। বিষয়টি সম্পুর্ণ ভুলবোঝাবুঝির কারনে উদ্ভুদ পরিস্থিতির সৃস্টি হয়।
এদিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ইমিগ্রেশন অফিসে পুলিশ ও কাস্টমস এর উর্ধতন কর্মকর্তারা বিষয়টি নিরসনে বৈঠক করছিল। তবে আমদানি রপ্তানি বানিজ্য বন্ধ, এবং বন্দর থেকে মালামাল খালাশ প্রক্রিয়া বন্ধ ছিল। বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার মোঃ বেলাল চৌধুরি ঃরসবহবংিনফ.পড়স এ বলেন কাস্টম সরকারের গুরুত্বপূর্ণ রাজস্ব আহরণ করে মানুষকে সেবা দিয়ে থাকেন কাস্টম ও ইমিগ্রেশন পুলিশের দুটি ভিন্ন সংস্থা তাহলে কেন তারা আমাদের কাজে হস্থক্ষেপ করবে। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানায় তিনি বলেন কাস্টমের সিসি টিভি স্পষ্ট দেখা গেছে ব্যাগ তল্লাশী করতে গেলে ওসি ওমর শরীফ কাস্টম কর্মকর্তার কাছে দৌড়ায়ে আসে যাতে তল্লাশী না করে। তিনি কেন করেছেন।কা¯টমসের কাস্টম কখন ও পুলিশের কাজে হস্তক্ষেপ করেনা। বেলাল চৌধুরি বলেন সরকারী ২টি সংস্থা পারস্পরিক শ্রদ্ধা বোধ রেখে স্বাধীন ভাবে কাজ করবে এ এটায় স্বাভাবিক এ ঘটনায় প্রকৃত অপরাধীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই।