দৌলতপুরে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কার্যক্রম অসম্পূর্ণ রেখে সমাপ্তি ঘোষণা


কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি: দৌলতপুরে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টা হতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ দৌলতপুর বাজার রেলগেট থেকে মহসিন মোড় রেলগেট পর্যন্ত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কার্যক্রম ২য় দিনের মত ঢিলেঢালাভাবে শুরু করে। উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্বে ছিলেন মোঃ ইউনুছ আলী বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা পাকশী। ১ম দিনে ২ জন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উচ্ছেদ অভিযানে অংশগ্রহণ করলেও এ দিন কোন ম্যাজিস্ট্রেট উচ্ছেদ অভিযানে অংশ নেননি এবং গত দিনের থেকে এদিন লোকবলও ৫০ জনের মত কম ছিল। দুপুর ১২টার দিকে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ১টি এস্কেভেটর উচ্ছেদের জন্য ভাড়া করে আনা হয়। এস্কেভেটর দিয়ে কেবলমাত্র ২/৩টি স্থাপনার আংশিক ভাঙার পরে সেটি কথিত যান্ত্রিক ত্রুটি দেখিয়ে বন্ধ রাখা হয়। এ বিষয়ে উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তা মোঃ ইউনুচ আলীর কাছে এস্কেভেটরের বিষয় জানতে চাইলে তিনি জানান-যদি এস্কেভেটর সচল না হয় তবুও উচ্ছেদ অভিযান সূর্যাস্ত পর্যন্ত চলবে। কিন্তু এ প্রতিনিধি এস্কেভেটর অপারেটরের কাছে যান্ত্রিক ত্রুটির বিষয় জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। কিন্তু এস্কেভেটরটি বিকল দেখাতে রেলওয়ে কানুনগো জিয়াউল হককে অতি উৎসাহী দেখা যায়। এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত কিছু ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আমরা আমাদের স্থাপনা নিজ দায়িত্বে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরিয়ে নিলেও অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের স্থাপনা না সরালেও তাদের স্থাপনা বাদ রেখে মাঝখান থেকে মাঝখান থেকে কিছু স্থাপনা আংশিক ভাঙা হচ্ছে। দৌলতপুরের বিভিন্ন স্তরের ব্যবসায়ী ও অভিজ্ঞজনের ধারণা এই উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে কিছু স্থাপনার মালিক রেল কর্তৃপক্ষকে দেখানোর জন্য নাম মাত্র ভাঙচুর করে এবং এ অভিযান সমাপ্ত হলে ওই সমস্ত স্থাপনা আর ভাঙা হবে না; যে কারণে এ অভিযানের সুফল ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *