নওগাঁয় পৃথক ঘটনায় দুই গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার।


নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁয় পৃথক ঘটনায় দুই গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার বিকেলে জেলা নিয়ামতপুর উপজেলা থেকে নিখোঁজের দেড়মাস পরগৃহবধু আলেমার (২০) বস্তাবন্দি কংকাল এবং মহাদেবপুর থেকেশিউলি রাণীকyণ্ডু (৪৪) মরদেহ উদ্ধার করা হয়।গৃহবধু আলেমা নিয়ামতপুর উপজেলার উত্তরবাড়ী গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে এবংশিউলিরাণী কুণ্ডু মহাদেবপুর উপজেলার শিবগঞ্জ এলাকার সুদেব কুমারকুণ্ডুরস্ত্রী।স্থানীয় ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিয়ামতপুর উপজেলার উত্তরবাড়ীগ্রামের রাশেদ মেনন রুমির ছেলে শাহরিয়ার শাওনের সাথে একই গ্রামের আবুলহোসেনের মেয়ে আলেমার সাথে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ সম্পর্কেতারা পূর্ণতা দিতে গত আড়াই মাস পূর্বে বাড়ি থেকে পালিয়ে ঢাকায় গিয়ে বিয়েকরে। দীর্ঘ এক মাস ১২ দিন ঢাকাতে অবস্থান করার পর শাহরিয়ার শাওন ও আলেমাউভয়ে বাড়ীতে ফিরে আসে। আলেমা তার স্বামীশাহরিয়ার শাওনের বসবাস করত। কয়েকদিন পর হঠাৎ আলেমানিখোঁজ হয়। আলেমাকে তার পরিবার আত্মীয় স্বজন সহবিভিন্ন স্থানে খুঁজে তাকে পাওয়া যায়নি।অবশেষে নিহতের ভাই শরীফ শনিবার থানায় একটি এজাহার দায়ের করে। এজাহারেরপ্রেক্ষিতে ওইদিন বিকেলে অভিযানে নামে থানা পুলিশ। উত্তরবাড়ী গ্রামেরউত্তর দিকের গোরস্থানের পাশের একটি পুকুরের পাড় থেকে সন্ধ্যার দিকেমাটিতে পুতে রাখা বস্তাবন্দী আলেমার দেহাবশেষ কংকাল (হাড়গোর) উদ্ধার করেথানা পুলিশ। নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন,এজাহারেরভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে আলেমার স্বামী শাহরিয়ার শাওনের অসংলগ্নকথাবার্তা পাওয়া যায়। শাওনকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ঘটনার সত্যতাবেরিয়ে আসে। তবে কি ভাবে গৃহবধুকে হত্যা করা হয়েছে তা জানা সম্ভব হয়নি।শাওনের দেয়া তথ্যে গত দেড় মাস আগে গুম হওয়া গৃহবধুর লাশ মাটিতে পুতে রাখাবস্তাবন্দি কংকাল উদ্ধার করা হয়। কংকালের ময়নাতদন্ত সম্পন্নের জন্যপাঠানো প্রক্রিয়া চলছে। এসময় নিহত আলেমার স্বামী শাহরিয়ার শাওন, তার বাবারাশেদ মেনন রুমি, মা সুলতানা রাজিয়া ও চাচা নাহিদ রেজা রুবেলকে আটক করাহয়। রবিবার আদলাতের মাধ্যমে নওগাঁ জেল হাজতে পাঠানো হবে।অপরদিকে, জেলার মহাদেবপুর উপজেলার শিবগঞ্জএলাকা থেকে শিউলি রাণী কুণ্ডুনামে একগৃহবধূরমরদেহউদ্ধারকরেছেপুলিশ।শনিবার বিকেলে ওই গৃহবধূরবাড়িথেকেমরদেহ উদ্ধার করা হয়।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ বছর আগেমহাদেবপুর উপজেলার শিবগঞ্জএলাকার মৃত নরেশ কুণ্ডুর ছেলেসুদেবকুণ্ডুর সঙ্গে বিয়ে হয় শিউলির।দাম্পত্য জীবনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেপ্রায়ইঝগড়া হতো। কয়েক দিন আগেতাদের মধ্যে ঝগড়া হয়।মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান, পারিবারিককলহের জেরেশিউলি আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্যনওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ারপর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।#

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *