বান্দরবানে প্রকাশ্যে সরকারী নিয়মনীতিকে উপেক্ষা করে পাথর দস্যুতা চলছে


এস.এম.হান্নান শাহ চট্রগ্রাম থেকে: বান্দরবান জেলার আলীকদম উপজেলায় সরকারি নিয়মনীতিকে উপেক্ষা করে পাথরদস্যুতা চলছে। অালিকদম উপজেলা সদরের ৮/১০ কিলোমিটারের মধ্যেই অবৈধভাবে পাথর আহরণ ও প্রকাশ্যে দিবালোকে পরিবহন চললেও ভ্রুক্ষেপ নেই কারো। গতমাসে জেলা-উপজেলা মাসিক আইন-শৃঙ্খলা সভায় পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী পাথরদস্যুতার বিরুদ্ধে হুশিয়ারী দিলেও তা মানছে না অসাধু সেন্টিকেড চক্র পাথরদস্যুরা। সোমবার স্থানীয়রা অালিকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কে তথ্য দেওয়ার পর তাঁর নির্দেশে পুলিশ চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের পাট্টাখাইয়া এলাকা থেকে ১টি পাথর বোঝাইসহ তিনটি ট্রাক আটক করেছে। তবে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ট্রাকগুলি ছাড়িয়ে নিতে পাথরদস্যু সিন্ডিকেট চক্ররা বিভিন্ন ভাবে তদবির চালিয়ে যাচ্ছিল। ঘটনাস্থলে আলীকদম থানার এসআই আজমগীর পাথর বোঝাই একটি ট্রাকসহ খালি ২টি ট্রাক নিয়ে আসেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সোমবার সন্ধ্যায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানা দেখিয়ে পাথর আহরণে ব্যবহৃত ট্রাকগুলি ছাড়িয়ে নেয়া হয় বলে জানা গেছে। জানতে চাইলে ইউএনও আলীকদম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল্লাহ জানান, ঘটনাস্থল থেকে ১টি পাথর বোঝাই ও ২টি খালি ট্রাক আটক করে জব্দ তালিকা করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় অভিযোগ করছেন, চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের ভরিখাল ও কলারঝিরির শাখা-প্রশাখা থেকে সরকারি অনুমতি ছাড়া নির্বিচারে পাথর আহরণ করছে একটি সিন্ডিকেট। কমপক্ষে ৫০ হাজার ঘনফুট পাথর ভরিরমুখ সড়কের পাট্টাখাইয়া এলাকা ও ভরিরমুখ আবুল কাসেম পাড়া ও মমপাখই হেডম্যান পাড়া এলাকায় মজুদ করা হয়েছে। এই পাথর সিন্ডিকেটের সাথে সরকারি কিছু কর্মচারী-শিক্ষকও জড়িত হয়ে পড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। তাঁরা সরকারি অফিস টাইমে পাথরদস্যুবৃত্তির কাজে সময় দেন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন।
জানতে চাইলে ইউএনও মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান সোমবার সন্ধ্যায় বলেন, আটককৃত তিনটি ট্রাককে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হচ্ছে। থানায় তিনট্রাক সমপরিমাণ পাথর নিলাম দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। তবে ঘটনাস্থলে মজুদ পাথরের সরকারি অনুমোদনের কাগজ তিনি এখনো অফিসিয়ালি পাননি বলে স্বীকার করেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *