কুষ্টিয়ায় নিখোঁজের চারদিন পর পরিত্যাক্ত ডোবা থেকে অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষকের লাশ উদ্ধার


কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে নিখোঁজ হওয়ার চারদিন পর আব্দুল জব্বার (৭০) নামের সাবেক এক স্কুল শিক্ষকের মরদেহ তাঁর নিজ গ্রামের পরিত্যাক্ত একটি ডোবা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ওই শিক্ষকের বাড়ি কুমারখালী উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের পুটিয়া গ্রামে। গত শনিবার ভোর থেকে তিনি নিখোঁজ হন। গতকাল বুধবার ভোরে স্থানীয়রা ওই শিক্ষকের মরদেহ পুটিয়া গ্রামের একটি পরিত্যাক্ত ডোবায় ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। নিহত আব্দুল জব্বার কুমারখালী শহরের জে.এন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ছিলেন। ২০১১ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। নিহতের একমাত্র ছেলে হুমায়ন কবির জানান, তিনি পেশাগত কারণে ঢাকায় থাকেন। বাবার নিখোঁজ হওয়ার খবর শুনে তিনি বাড়ি এসেছেন। কয়েকদিন যাবৎ তিনিও চাচা ও চাচাতো ভাইদের সাথে বাবার সন্ধান করে বেড়াচ্ছিলেন। তবে এ ঘটনায় তারা কাউকেই সন্দেহ করছেন না। এ ঘটনায় নিহতের ভাতিজা আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে গত ২৬ নভেম্বর কুমারখালী থানায় একটি সাধারন ডায়েরি (জি.ডি নং-১০১৬) করেছে। এ ছাড়াও নিখোঁজ চাচার সন্ধান পাবার জন্য বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করেছেন তারা। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু দায়ের করেছে পুলিশ। নিহত স্কুল শিক্ষকের ছোট ভাই আতিয়ার রহমান বলেন, গত প্রায় ৪ বছর আগে আব্দুল জব্বারের সহধর্মীনি মারা যান। তারপর থেকে তিনিও শারীরিক ও মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ’্য ছিলেন। তাঁর একমাত্র ছেলে হুমায়ন কবির পেশাগত কারণে ঢাকায় থাকে এবং মেয়ে স্বামীর সংসারে থাকে। আর সে কারণে আব্দুল জব্বার বাড়িতে একাই থাকতেন এবং তিনি আহার করতেন ছোট ভাই আতিয়ারের বাড়িতে।স্থানীয়রা জানান, শিক্ষকতা পেশা থেকে অবসর গ্রহণের পর থেকে বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত ছিলেন আব্দুল জব্বার। তারপর সহধর্মীনি বিয়োগের পর মানসিকভাবেও কিছুটা অসুস্থ্য হয়ে পড়েন তিনি। এ ছাড়া স্থানীয় কারো থাকে কোন প্রকার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কিংবা মতবিরোধ ছিলনা। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফেরদৌস বলেন, মরদেহের গায়ে কোন প্রকার আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবুও মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে এবং এই মর্মে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত আব্দুল জব্বার পুটিয়া গ্রামের মৃত রমজান আলীর ছেলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *