কুমিল্লা জেলার বরুড়া থানার দূর্নীতিবাজ ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা অসৎ ব্যক্তি মোমিন মোল্লার রাতারাতি সম্পদের পাহাড় গড়ার নেপথ্যে


কুমিল্লা প্রতিনিধি: আসছে ১৬ ডিসেম্বর, বিজয় দিবস। শ্রদ্ধা জানাই ৩০ লক্ষ শহীদকে, ইজ্জতহারা ২ লক্ষ মা- বোন, বর্তমানে জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধে আহত সকলকে জানাই অভিনন্দন ও ফুলেল সম্মান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদেরকে উপহার দিয়েছেন সোনার বাংলাদেশ। ১৭ কোটি মানুষকে নিয়ে আমরা গর্ববোধ করি। বঙ্গবন্ধু সোনার মানুষদেরকে নিয়ে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু কিছু অসৎ ব্যক্তির কারনে আজ রাষ্ট্র থেকে সমাজ পর্যন্ত দূরবস্থা। এমনই একজন অসৎ ব্যক্তির সাধারন স্কুল শিক্ষক থেকে সম্পদের পাহাড় গড়ার নেপথ্যের কাহিনীর ৩য় পর্ব শুরু করলাম। তিনি কুমিল্লা জেলার বরুড়া থানার আনাইদকোটা গ্রামের মোমিন মোল্লা। তিনি একজন ভূয়া ম্ুিক্তযোদ্ধা। কর্মজীবনে তিনি ৯০-১০০ শতক সম্পত্তির মালিক, যার বর্তমান বাজার মূল্য ২ কোটি টাকার উপরে। সরকারী খাস জমি এবং খালের উপর দোতলা বিল্ডিং নির্মান করেছেন, যার বর্তমান বাজার মূল্য ১ কোটি টাকার অধিক। একবাড়ীয়া বাজারে বসুন্ধরা সিটি মার্কেটে ৬ লক্ষ টাকা দিয়ে একটি দোকান ক্রয় করেন। বরুড়ার একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ৫ লক্ষ টাকার দিয়ে শেয়ারহোল্ডার হয়েছেন। তিনি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কোন কর্মকর্তা নন, তবুও তিনি এলাকাবাসীকে বিদ্যুৎ দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। সরকারের একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্প থেকে লোন দেয়ার মিথ্যা আশ^াসে এলাকাবাসীর কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। শুধু তাই নয় তিনি মসজিদ, মাদ্রাসা, হিফজখানা, জৈনপুর হুজুরের মাহফিল এর নাম করে নিজ এলাকা এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করেন। গ্রাম অঞ্চলের বেশীর ভাগ মানুষই ধার্মিক এবং খোদাভিরু। অথচ তিনি তার ছেলের বিবাহে ৬-৭ দিন ব্যাপী কনসার্ট, ঢাকা থেকে ঘোড়ার গাড়ী, শিল্পী ও হিজরা এনে নাচগানের অনুষ্ঠান করেছেন। এই বিবাহে ১২-১৫ লক্ষ টাকা ব্যয় করেন। তিনি জৈনপুর হুজুরের একজন মুরিদ হয়েও এই ধরনের অসংখ্য অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকেন। ইসলাম ও শরীয়ত বিরোধী কার্যকলাপ করতে তিনি একটুও দ্বিধাবোধ করেন না। তার নিজ নামে এবং ওয়ারিশগনের নামে বেনামে অসংখ্য স¤পদ, নিজ নামে ব্যাংক হিসাব ও সরকারী পেনশন জব্দ করে এতিমখানায় দান করা হোক। বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “অপরাধী যত শক্তিশালীই হোক তাকে আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে”। তাই দেশবাসী ও আনাইদকোটা গ্রামের মানুষ জানতে চায়, তার এত অঢেল সম্পত্তি কিভাবে হল। গ্রামের একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক হয়েও তিনি এত সম্পত্তি কিভাবে গড়লেন। বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিকট, কুমিল্লা -৮(বরুড়া) এর সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব অধ্যাপক নুরুল ইসলাম এম পি সাহেবের কাছে, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী এবং দূর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান মহোদয়, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, বরুড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, ১৩ নং আদ্রা ইউনিয়নের বার বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান সকলের নিকটই দেশবাসী ও এলাকাবাসী দাবী করেছেন আগামী বিজয় দিবসের পূর্বেই তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে এসে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য। নতুবা মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের কলংকিত করার কারনে, ইসলাম ধর্মের অপব্যবহারে কারনে, দূর্নীতির পাহাড় গড়ার কারনে তার বিরুদ্ধে গনস্বাক্ষরের ব্যবস্থা করা হবে।
এই দূর্নীতিবাজ ভূয়া মুক্তিযোদ্ধার আরও অপকর্মের নানা তথ্য নিয়ে আবার আসব পরবর্তী পর্বে। ধন্যবাদ।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *