ইসলামপুরে নয়া মালমারা গ্রামে ভূমি দস্যু ও চাঁদাবাজ ছানু বাহিনীর অত্যাচারে অতীষ্ঠ ভূমির প্রকৃত মালিকরা
ওসমান হারুনী,জামালপুর প্রতিনিধি: জামালপুরের ইসলামপুরে নয়া মালমারা গ্রামে ভূমি দস্যু ও চাঁদাবাজ ছানোয়ার ছানু ও গাইটের অত্যাচারে অতীষ্ঠ হয়ে পড়েছে স্থানীয় এলাকাবাসী ও ভূমির প্রকৃত মালিকরা। অভিযোগে জানা যায়,ইসলামপুর উপজেলার গাইবান্ধা ইউনিয়নের নয়া মালমারা গ্রামের জরিপ উদ্দিন হারেজের ছেলে দালাল,ভূমি দস্যু ও চাঁদাবাজ ছানোয়ার (ছানু)ও একই এলাকার মৃত তৈয়নুদ্দিন শেখের ছেলে গাইটের অত্যাচারে স্থানীয় ভূমির মালিকরা নিজের জমিতে চাষাবাদ ও বসতি স্থাপন করতে পারছে না। কেউ নিজের জমিতে চাষাবাদ ও ঘর তুলতে গেলে চাঁদা দাবী করে নানান ভাবে হয়রানি করে আসছে ওই ভূমি দস্যু চক্রটি। দাবীকৃত চাদাঁ না মারামারী,প্রাণ নাশসহ বিভিন্ন প্রকার হুমকি প্রদান করে এলাকার শান্তি শৃংখলা ভঙ্গ করছে। ওই এলাকার ভোক্ত ভোগী কৃষক কামরুল হুদার অভিযোগ,নয়া মালমারা গ্রাসের হানিফ সেকের ছেলে ফারুক(৩০)ওই ভূমি দস্যু চাঁদাবাজ ছানু চক্রের সহায়তা তার ৬৫ শতাংশ জমি জবর দখল করে নিয়েছে। এছাড়াও একই কায়দায় মৃত আনার সেকের ছেলে শহীদ(৪০)তার ৫৫ শতাংশ জমি জবর দখল করে নিয়েছে। জমিতে এখন হালচাষ করতে গেরে উক্ত ভূমি দস্যু চক্র চাঁদা দাবী করছে। ভোক্তভোগী কামরুল হুদা আরো জানান,গত ১৬এপ্রিল তার গাইবান্ধা মৌজায় বিআরএস খতিয়ান নং-১২০১,বিআরএস দাগ নং-৪৩৮৮.৪৩৮৯,জমির পরিমান ৯০ শতাংশের মধ্যে বসতঘর উত্তোলন করতে গেলে ছানোয়ারের নের্তৃত্বে ওই চাঁদাবাজ চক্রটি দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে; চাদাঁ না দিলে ছানু তার ভাড়াটিয়া বাহিনী নিয়ে তার জমি জবর দখলের পায়তারা করে। ওই সময় বাধাঁ দিলে সংঘর্ষ বাধেঁ। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০জন আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রনে আনে। পরে এব্যাপারে ভোক্তভোগী কামরুল হুদা আদালতে আইনের আশ্রয় নিয়ে একটি মামলা রুজু করে। বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে।