লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় এবতেদায়ী মাদ্রাসাগুলোর বেশির ভাগেই ভূয়া পিইসি পরীক্ষার্থী


এস এম আলতাফ হোসাইন সুমন লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী বটতলা ইবতেদায়ী মাদ্রাসা থেকে এবার গড্ডিমারী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছে রিফাত জাহান, আমেনা খাতুন ও শ্যামলী খাতুন নামের তিন জন শিক্ষার্থী এবতেদায়ী সমাপনী শিক্ষা পরীক্ষা (পিইসি) দিচ্ছে। কিন্তু এদের মধ্যে রিফাত জাহান ও আমেনা খাতুন চলতি বছর মিলনবাজার মৌলভী আবুল হাশেম আহমেদ মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী হিসেবে জেডিসি পরীক্ষা দিয়েছে। অপর শিক্ষার্থী শ্যামলী খাতুন হাতীবান্ধা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। ওপর দিকে ডাওয়াবাড়ী আজিজুল ইসলাম নিন্ম মাধ্যমিক কেন্দ্রে পঃ হলদিবাড়ী এবতেদায়ী মাদ্রাসা থেকে অংশ গ্রহনকারী পিইসি পরীক্ষার্থীর (রোল নং-২১০ থেকে ২১৭) সকলেই ভূয়া মর্মে এলাকাবাসী উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করে ওই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক সহ এর সাথে জড়িত সকলের শাস্তিদাবী করেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী বটতলা ইবতেদায়ী মাদ্রাসা গড্ডিমাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে যে ক’জন শিক্ষার্থী এবতেদায়ী সমাপনী শিক্ষা (পিইসি) পরীক্ষায় অংশ করচ্ছেন তারা সবাই ভুয়া পরীক্ষার্থী। একই অবস্থা ডাউয়াবাড়ী আজিজুল ইসলাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অংশ নেয়া পশ্চিম হলদী বাড়ী এবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের এদের কেউ জেডিসি পরীক্ষা দিয়েছে। কেউ ষষ্ঠ, কেউ সপ্তম এবং কেউবা অষ্টম শ্রেণিতে পড়ছে। এর পরেও তারা সবাই এবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার্থী হিসেবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ডিআরভুক্ত হয়েছে। সেই সুবাদে তারা পিইসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে। সোমবার হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী উচ্চ বিদ্যালয়ে এবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী শ্যামলী খাতুন ১০ নম্বর কক্ষে বসে অন্য শিক্ষার্থীদের মতোই উত্তরপত্রে লিখছে। সে জানায়, গত বছরই একটি বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বর্তমানে হাতীবান্ধা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়া লেখা কড়ছে। কিন্তু গড্ডিমারী বটতলা মাদ্রাসায় তার এক আত্মীয় থাকায় এ বছর এবতেদায়ী সমাপনী শিক্ষা পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে সে। তবে ওই মাদ্রাসার হয়ে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী রিফাত জাহান ও আমেনা খাতুন প্রথম পরীক্ষায় অংশ নিলেও সোমবার দ্বিতীয় দিনে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসেনি বলে জানায় সে। এ ব্যাপারে গড্ডিমারী দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচিব আতোয়ার হোসেন বলেন, ওই তিন শিক্ষার্থীর সবাই প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ডিআরভুক্ত পরীক্ষার্থী। সে কারণে তারা পরীক্ষায় অংশ নেয়। বিষয়টি নিয়ে গড্ডিমারী বটতলা এবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক জাহেদুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। হাতীবান্ধা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিষয়টি শুনেছি। প্রমানিত গলে মাদ্রাসার প্রধানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি ২ টি পরীক্ষা কেন্দ্রেই গিয়ে ঘটনা জেনে এসেছি। ওই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *