ঝিনাইদহে খেজুরের রস সংগ্রহে ধুম পড়েছে।
মশিয়ার রহমান টিংকু (মহেশপুর): ক্রমাগত বাড়ছে শীতের তীব্রতা। সকালে শীতের কুয়াশা চাদরের মত জড়িয়ে থাকছে প্রকৃতির গায়ে। শীতের ঐতিহ্যের হাড়ির রসের মত, বড়ই মধুর লাগছে প্রকৃতির মিষ্টি খেজুরের রস। গাছিরা শীতকে উপেক্ষা করে প্রতিদিন বের হচ্ছেন খেজুরের রস সংগ্রহ করতে। ঝিনাইদহের সদর, মহেশপুর, কোটচাঁদপুর, কালীগঞ্জ, হরিনাকুন্ড, শৈলকুপা উপজেলার প্রতিটি গ্রামেই চলছে খেজুরের রস সংগ্রহের কাজ। প্রায় সব বাড়িতে চলছে গুড় ও পাটালি বানানোর ব্যবস্থা । জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের গাছিরা শীতের শুরুতেই তাদের দায়িত্বে থাকা খেজুর গাছগুলো কেটে ভাড় বা হাড়ি ঝুলিয়েছেন। শীতের কোমল পানীয় খেজুরের রসের চাহিদা শুধুমাত্র গ্রামে নয়,শহরেও। চাহিদা মেটাতে গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে তা বিক্রির উদ্দেশে গাছিরা কাক ডাকা ভোরে রওয়ানা হন শহরের দিকে। রসের দাম চড়া হওয়ায় লাভবানও হন গাছিরা। গ্রামঞ্চলে রস সংগ্রহ করে বাড়িতে বাড়িতে পিঠা-পায়েস খাওয়ার ধুম পড়েছে। আত্মীয় স্বজনদের নিমন্ত্রণ করে পিঠা-পায়েস খাওয়ানো হচ্ছে। সংগ্রহকৃত রস দিয়ে পিঠা-পায়েসের পাশাপাশি গুড় ও পাটালি উৎপাদনের কাজ চলছে দ্রুতগতিতে। শীত মৌসুমে এসব এলাকার নারী-পুরুষসহ অনেকেই নিজ বাড়িতেই গুড় পাটালি উৎপাদনের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ অঞ্চলের উৎপাদিত গুড়ের পাটালি মানে ও স্বাদে সারাদেশে সমাদৃত। ফলে গুড় ব্যবসায়ীরা উন্নত মানের গুড় পাটালি সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করেন। স্থানীয় কৃষক ও ভূমি মালিকদের খেজুর গাছ চাষে উৎসাহিত করতে সংশি¬ষ্ট দফতরের পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন এলাকার সচেতন মহল।