এস,এস,সি পরীক্ষার ফরম পূরণের নামে রমরমা ব্যবসা চলছে মহিউদ্দীন বাদল কলেজিয়েট স্কুলে। ঘটনাটি সত্যতা যাচাই করতে গেলে সাংবাদিকদের প্রাণ নাষের হুমকি
ঢাকা প্রতিনিধি: কদমতলী থানার দক্ষিন মাতুয়াইলের তুষারধারা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত মহিউদ্দিন বাদল কলেজিয়েট স্কুলটি। বিশেষ সূত্রে জানা যায়, স্কুলটির প্রধান শিক্ষক ও স্কুল কমিটির অনিয়ম আর দুর্নীতির কারণে বিপাকে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা । এস,এস,সি পরীক্ষার ফরম পূরণের জন্য নেয়া হচ্ছে আট হাজার থেকে নয় হাজার টাকা। অথচ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের নিয়ম ও হিসাব অনুযায়ী পনের শত টাকা থেকে সর্বোচ্চ দুই হাজার পাঁচশত টাকা পর্যন্ত হবে। এমপিও ভুক্ত উল্লেখিত স্কুল কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান (মন্টু) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের যুগ্ন সচিব হয়েও সরকারী নিয়ম ও নীতির তোয়াক্কা না করে এস,এস,সি পরীক্ষার ফরম পূরণে জন্য পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে আট থেকে নয় হাজার টাকা করে। আরো জানা যায় যে, মহিউদ্দিন বাদল কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক হুমায়ূন আহমেদ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কৌশলে ক্লাস পরীক্ষার অযুহাতে এবং কোচিং বাধ্যগতা করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ। এস,এস,সি পরীক্ষার ফরম পূরণে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ায় কিছু কিছু অভিভাবকরা তার প্রতিবাদ করলে স্কুলটির প্রধান শিক্ষক হুমায়ূন আহমেদ এস,এস,সি পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকদের হুমকি দিয়ে বলেন, ২৫ মার্ক আমাদের হাতে আছে। যারা ফরম পূরণের টাকার জন্য বারাবাড়ি করবে বা কাউকে এ ব্যাপারে কিছু বললে আমরা ২৫ মার্ক দিবো না। সেজন্য যদি কোনো শিক্ষার্থীর রেজাল্ট খারাপ হয় তাহলে আমরা শিক্ষকরা দায়ী হবো না। উল্লেখিত বিষয় সম্পর্কে সত্যতা যাচাইয়ের জন্য স্কুলটির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান মন্টু (যুগ্ন সচিব ঢাকা শিক্ষাবোর্ড) এবং প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন আহমেদকে ফোন করা হলে বাংলা স্কাই টিভির সাংবাদিক নুরুদ্দীন শেখ ও তার সহকর্মীদেরকে বিকেল ০৪ টায় স্কুলে যেতে বলেন, ডেস্ক রিপোর্টার মোঃ নুরুদ্দীন শেখ সহকর্মীদের নিয়ে মহিউদ্দিন বাদল কলেজিয়েট হাই-স্কুলে বিকেল ৪টার দিকে উপস্থিত হন। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান (মন্টু) তাদেরকে স্কুল অফিস রুমে বসতে বলে তিনি চলে যান এবং তার মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ করে দেন। প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন আহমেদের কাছে উল্লেখিত ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি একটু অপেক্ষা করতে বলেন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট পরে দশ পনের জন লোক স্কুলটির অফিসে প্রবেশ করেন, তাদের মধ্যে দুজন মহিলা ছিলেন এবং লোকগুলো এসেই স্কাই টিভির ডেস্ক রিপোর্টার মোঃ নুরুদ্দীন শেখ ও তাঁর সহকর্মীদের হুমকি-ধামকি গালাগালি করেন। তাদের পরিচয় জানতে চাইলে বলে আমরাও সাংবাদিক তাঁদের নাম ও তারা কোন পত্রিকা বা টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক তা জানতে চাওয়া হলে সেই দশ পনের জন লোক আরো ক্ষেপে যায়। একপর্যায় নুরুদ্দীন ও সহকর্মীদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয় এবং সাংবাদিক নুরুদ্দীন শেখ কে দিয়ে জোর পূর্বক একটি সাদা কাগজে লিখিত নেয় যে, স্কুলটির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান মন্টুর মহিদ্দীন বাদল কলেজিয়েট হাই-স্কুলের সাথে তাঁর কোনো সম্পৃক্ততা নেই। অতঃপর সাংবাদিক নুরুদ্দীন শেখ ও তাঁর সহকর্মীদের মোবাইল ফোন ফিরিয়ে দেয় এবং হত্যার হুমকি দিয়ে বলে এই ঘটনার ব্যাপারে কাউকে কিছু বললে বা বেশি বাড়াবাড়ি করলে তিন লক্ষ টাকার চাঁদাবাজির মামলা দিবো। তাদের মধ্যে একজন মহিলার পরিচয় পাওয়া যায় তাঁর নাম পলি রুবি তবে তিনি তার নাম রুপা বলেন। তিনি মূলত ঐ দশ পনেরজন লোকের লিডারের ভূমিকায় ছিলেন এবং এই পলি রুবি (রূপা)-ই তিন লক্ষ টাকার চাঁদাবাজি মামলা ও হত্যার হুমকি দেন। জানা যায় পলি রুবি (রুপা) তিনি একজন বহুরূপি নামধারী সাংবাদিক। তবে কোন পত্রিকার সাংবাদিক তা এখনো জানা যায়নি। তিনি একেক সময় একেক পরিচয় দেন কখনো বলেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর ব্যাক্তিগত রিপোর্টার আবার কখনো বলেন ভাম্যমান ম্যাজিস্ট্রেট। পলি রুমি (রুপা) এর ঠিকানা জানতে চাইলে তিনি বলেন তাঁর স্থায়ী ঠিকানা টুঙ্গিপাড়া গোপালগঞ্জ তিনি নাকি মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার আত্মীয়। অথচ বিশেষ সূত্রে জানা যায় তাঁর গ্রামের বাড়ী বরিশাল এবং তার নিজস্ব ফেইসবুক আইডির প্রোফাইলে অন্য একটি সুন্দরী মেয়ের ছবি দেওয়া। জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন ? স্কুল প্রতিষ্ঠান হলো একটি পবিত্র স্থান আর সেই পবিত্র স্থানে সাংবাদিকদের ডেকে নিয়ে কেন এই অপমান ও লাঞ্চিত করা হলো ??? আমাদের দেশের শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য যেখানে সরকার নিরলস ভাবে চেষ্টা করছেন। সেখানে এক শ্রেণীর অসাধু, অর্থ লোভি ব্যক্তি ও শিক্ষকরা শিক্ষার নামে ব্যবসা করছেন। এই ধরনের ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া প্রয়োজন। বাংলাদেশ সরকার এ ব্যাপারে সু-দৃষ্টি রাখবেন আমরা আশাবাদী। চলবে…