কদমতলী থানার দক্ষিন মাতুয়াইলে তুষারধারা আবাসিক এলাকা শহিদ নগর ও গিরিধারায় মাদক ও সন্ত্রাসীদের ঘাটিতে পরিণত হয়েছে।
ঢাকা প্রতিনিধি: কদমতলী থানার দক্ষিন মাতুয়াইল তুষারধারা আ/এ, শহিদনগর ও গিরিধারায় সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে মরণ নেশা ইয়াবা। উল্লেখিত এলাকাগুলোতে ইয়াবার ছড়াছড়ি এত বেশি যে, সাধারণ মানুষ সর্বক্ষন আতঙ্কে থাকেন তাদের সন্তানদের নিয়ে। এবং তাদের সন্তানরা যাতে মাদকাসক্ত না হয়ে পড়ে এজন্য অনেকেই এলাকা ছেড়ে চলে যাচ্ছে অন্য এলাকায়। তুষারধারা, গিরিধারা ও শহিদ নগরে দ্বীনে দুপুরে চুরি ছিন্তাই ও ডাকাতির মত ঘটনাও ঘটছে অহরহ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এলাকাবাসী জানায় উল্লেখিত এলাকাগুলোতে ইয়াবা ব্যবসায়ী এত বেশি যে, কিছু কিছু মুরগির দোকান, মোদি দোকান ও বিভিন্ন চায়ের দোকানে বিক্রি হচ্ছে মরণ নেশা ইয়াবা। এবং আরো জানা যায়, এর পিছনে কিছু প্রভাবশালী মহল জড়িত আছেন। তাদের যদি নিয়ন্ত্রণ করা না যায়। তাহলে মাদকের ভয়াবহতা নিয়ন্ত্রন করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে যাবে। তুষারধারা আ/এ তে দুটি সংগঠন রয়েছে। এলাকার সার্বিক উন্নয়ন ও মানবতার কল্যাণে একটি হলো তুষারধারা কল্যাণ সমিতি অপরটি তুষারধারা যুব ফোরাম। স্থানীয় এলাকাবাসিদের অভিযোগ মাদকের ভয়াবহতা মোকাবেলায় ও সমাজ থেকে মাদকের উৎস নির্মূলে কোনো ভূমিকা নেই এই দুটি সংগঠনের। আমাদের দেশে যে মাদকের অহরহ ব্যবহার দেখা যাচ্ছে এর বেশির ভাগই আসে ভারত ও মিয়ানমার থেকে এসব মাদক শুধু পুলিশ, বিজিবি, র্যাব বা প্রশাসন দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। এলাকাবাসী ব্যাক্ত করেন। সকল স্তরের লোকজন ও রাজনৈতিক নেতাদের এই মাদক বিক্রেতাদের ও সেবনকারীদের পরিহার করতে হবে এবং মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। তাদেরকে এলাকা থেকে বিতাড়িত করতে হবে। তাহলে সমাজে থেকে মাদক নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।