কক্সবাজারে ২১১ বছর বয়সী একটি বৃক্ষের সন্ধান!
মোঃ নিজাম উদ্দিন, কক্সবাজার: দেশে শতবর্ষী বৃক্ষের অপরূপ সমারোহ কক্সবাজার জেলা। বনবিভাগ নিয়ন্ত্রণাধীন সরকারী কোটি টাকার সম্পদ এ বৃক্ষাদি। এদের মায়াময় ছায়াচিত্র ও পাখির কলরব মুহূর্তেই যে করো মন জুড়িয়ে যায়। শতবর্ষীদের ভিড়ে ২১১ বছর বয়সী একটি গজারি বৃক্ষের সন্ধান মিলছে রামু উপজেলার ঈদগড়ে। পার্বত্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়ন ও কক্সবাজারের রামু উপজেলার ঈদগড়ের মাঝামাঝি করইল্যামুরা নামক এলাকায় গাছটির অবস্থান। সচিত্র প্রতিবেদন করতে করইল্যামুরা গিয়ে দেখা যায়, গাছটির গোড়ায় দর্শনার্থীরা স্বাচ্ছন্দ্যে বসতে পাথরের গোলাকৃতি বেঞ্চ তৈরি করা হয়। গাছের গোড়ায় পাথরের একটি ফলক লাগানো রয়েছে। বন বিভাগের সহযোগিতায় কক্সবাজার জেলা পরিষদ ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ফলকটি স্থাপন করেন। এতে লেখা রয়েছে, ‘আমায় বাঁচতে দিন। লোভাতুর মানুষ দেখলেই ভয়ে আমার অন্তর-আত্মা কেঁপে ওঠে। কুঠারাঘাতে, করাত দিয়ে কিংবা বিষ প্রয়োগে আমার অস্তিত্ব বিপন্ন করবেন না।’ প্রকৃতির দুরন্ত সন্তান গাছটির নামকরণ করা হয় ‘আকাশ’ নামে। গাছটির বয়স উল্লেখ রয়েছে ২০০ বছর অর্থাৎ সে হিসেবে বর্তমান বয়স ২১১ বছর। ডালপালা সহ গাছের উচ্চতা ৮০ ফুট। বেড় গোড়ার দিকে ২২ ফুট, মাঝে ১৫ ফুট এবং মাথায় ১১ ফুট। এলাকার লোকজন অপরাধ তথ্যচিত্র’কে বলেন সাত বছর আগেও এই করইল্যামুরা এলাকায় কয়েক হাজার গজারি ও গর্জনগাছ ছিল। স্থানীয় প্রভাবশালীরা সিন্ডিকেট করে গাছগুলো নিধন করেছে। এই গজারি গাছটির গোড়ায় বিষ দিয়ে মেরে ফেলতেও চক্রান্ত করছিল। কিন্তু এলাকার মানুষ সতর্ক থাকায় তা সম্ভব হয়নি। কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ডিএফও মাহাবুব মোর্শেদ জানান দুরদুরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা বৃক্ষটি একনজর দেখতে আসছে। এটার প্রতি নিরাপত্তা জোরদারে নিয়োজিত রয়েছে বনবিভাগ।