জেলা প্রশাসক বটে!! রবিবার সকাল ৯’টায় শৈলকুপা উপজেলায় হাজির ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক, পেলেন না ৮ জন অফিস প্রধানকে, ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ!
জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহ: সকাল সোয়া ৮ টা। বাসা থেকে বের হলেন ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক জাকির হোসেন। কোথায় যাচ্ছেন, কি জন্য যাচ্ছেন ড্রাইভার, দেহরক্ষী কেউ বলতে পারলেন না। জানা গেল, জেলা প্রশাসকের উদ্দেশ্যে উপজেলাগুলোতে যেসব সরকারি কর্মকর্তা আছেন তারা সঠিক সময়ে অফিসে আসেন কি না তা যাচাই করা। শহরের পোষ্ট অফিস মোড় থেকে গাড়ী ঘুরালেন শৈলকুপার উদ্দেশ্যে। ঘড়ির কাটায় যখন ৯ টা বাজে তখন শৈলকুপা উপজেলা পরিষদে হাজির তিনি। শুরু করলেন প্রতিটি দপ্তর পরিদর্শণ করা। অফিস খোলা কিন্তু অফিস প্রধান আসেনি। একে একে যুব উন্নয়ন, সমাজ সেবা, আনসার ভিডিপি, মৎস্য অধিদপ্তর, বিআরডিবি, পানি উন্নয়ন বোর্ড, এলজিইডি অফিসে পরিদর্শন শেষে কাউকে পেলেন না তিনি। অন্যান্য অফিসের কর্মকতার এসেছেন কিন্তু ওই দপ্তরগুলোর কর্মকতারা হইতো এখনও ঘুমাচ্ছেন! পরিদর্শণ শেষে সকল দপ্তরের জেলা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন যেন অনুপস্থিত কর্মকর্তাদের শোকজ করা হয়। আকস্মিক পরিদর্শন শেষে জেলায় নিজ কার্যালয়ে ফিরলেন জেলা প্রশাসক জাকির হোসেন। এমন আকস্মিক পরিদর্শনে হতবাক উপজেলার সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সাধারণ মানুষ। উপজেলার বাইরে থাকা একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা গেল এমন পরিদর্শনে খুবই খুশি তারা। অনেকেই বললেন, জেলা প্রশাসকের এমন কাজ সত্যিই প্রশংসনীয়। এতে উপজেলা তথা জেলার উন্নয়ন হবে আর ফাঁকিবাজ কর্মকর্তা কাজ করতে পারবে। অনেকেই বললেন, এমন জেলা প্রশাসক যদি সকল জেলায় থাকতো তবে দেশ আরও এগিয়ে যেত। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক জাকির হোসেন বলেন, জনগণের সেবা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ সরকার বদ্ধ পরিকর। কিন্তু জেলার অনেক সরকারি দপ্তরের প্রধানগণ সঠিক সময়ে অফিসে আসেন না এমন সংবাদে আজ (রোববার) শৈলকুপা পরিদর্শন করেছি। সেখানে গিয়ে এর সতত্যা পেয়েছি। আমার একটাই উদ্দেশ্যে সরকারের সেবা জনগণকে সঠিক ভাবে পৌছে দিতে। জেলার কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী অফিস ফাঁকি দিবে এটা বরদাস্ত করা হবে না। তিনি আরও বলেন, সরকার সরকারি কর্মকর্তাদের অনেক সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন। এজন্য জনগণকেও সঠিক ভাবে সেবা প্রদাণ করতে হবে। শৈলকুপার অনুপস্থিত ৮ জন কর্মকর্তার দেরিতে আসার কারণ দর্শানোসহ তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে নোটিশ দেওয়ার জন্য জেলা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ধরণের অভিযান জেলার ৬ উপজেলায় অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।