ঝিনাইদহে এবার স্কুল ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ডেকে এনে হত্যাচেষ্টা


জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহ: দেড় বছর ধরে প্রেম। প্রেমের সুত্র ধরে অনেক স্থানে ঘোরাঘুরি। অতপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ঝিনাইদহে ডেকে আনা হয় স্কুল ছাত্রী জলি খাতুন (১৫) কে। এরপর শহরের চাকলাপাড়ায় প্রেমিক আজিজুল হাকিমের বাড়িতে নিয়ে বিয়ের পরিবর্তে নির্যাতন চালানো হয়। এক পর্যায়ে জলিকে মারধর করার পর মুখে বিষ ঢেলে দেয় প্রেমিক আজিজুল হাকিম, বোন নাসিমা খাতুন ও চাচাতো ভাই আল-আমিন। মুমুর্ষ অবস্থায় তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ফেলে রেখে চলে যায়। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে শনিবার বিকালে এ ভাবেই তার উপর নির্যাতনের কথা বর্ননা করেন মাগুরার হাজিপুর ইউনিয়নের নড়িহাটি গ্রামের আলতাফ বিশ্বাসের মেয়ে জলি খাতুন। সে আগামী বছর অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন নিবে। জলি খাতুন অভিযোগ করে ঝিনাইদহ শহরের চাকলাপাড়ার গোলাম মোস্তফার ছেলে আজিজুল হাকিমের সাথে তার প্রেম হয় মোবাইলে। দীর্ঘ দেড় বছর ধরে চলে আসছে তাদের সম্পর্ক। সম্পর্কের সুত্র ধরে মাগুরা ও ঝিনাইদহ শহরের অনেক পার্কে ঘোরাঘুরি করেছে। ৩/৪ দিন আগে আজিজুল মোবাইল করে ডেকে আনে জলি খাতুনকে। চাকলাপাড়ার বাড়িতে আসার পর বিয়ের পরিবর্তে তার উপর অকথ্য নির্যাতন চালানো হয়। আজিজুলের বোন নাসিমা খাতুন ও চাচাতো ভাই আল-আমিন জলির মাথায় আঘাত করে। সে অচেতন হয়ে পড়লে তার মুখে বিষ ঢেলে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়। এরপর ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায়। জলি খাতুন আরো জানায়, সে নিজে বিষ পান করেনি। তকে জোর করে মুখে ঢেলে দেওয়া হয়েছে। সে এই ঘটনার বিচার চাই। জলির মা সহিদা খাতুন বলেন, তার মেয়েকে এ ভাবে নির্যাতনের পর তানা পুলিশ না করতে হুমকী দেওয়া হয়েছে। এখন তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। হুমকী দেওয়ার কারণে তারা মামলাও করতে পারছেন না। সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে বিষয়টি মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা ঝিনাইদহ ইউনিটকে জানানো হয়েছে। প্রেমিক আজিজুল হাকিমের সাথে কথা বলতে তার ০১৯৪১-৯৪৮০৩৮ মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিল করেন নি। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ডিউটি অফিসার এএসআই শিল্পী খাতুন জানান, শনিবার বিকাল পর্যন্ত তাদের কাছে কেও অভিযোগ করেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *