শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপত্তায় ৮ বিদেশি কুকুর
ঢাকা প্রতিনিধি: রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপত্তা ও চোরাচালানরোধে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সঙ্গে কাজ করবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৮ টি বিদেশি কুকুর। বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) ইংল্যান্ড থেকে বিমানবন্দরে আসে কুকুরগুলো। ৮ কুকুরের এপিবিএনের ডগ স্কোয়াডে যুক্ত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন এপিবিএনের পুলিশ সুপার রাশিদুল ইসলাম খান এবং সহকারী পুলিশ সুপার তারিক আহমেদ। ৬ থেকে ৮ মাস বয়সী কুকুরগুলো দু’মাস প্রশিক্ষণ শেষে অপরাধ দমন ও শনাক্তে এপিবিএনের ডগ স্কোয়াডের হয়ে কাজ করবে। প্রশিক্ষিত এ কুকুরগুলো পরিচালনার জন্য ‘কে-৯’ নামে একটি ইউনিট গঠন করা হয়েছে। এপিবিএনের ১৫ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিয়ে কুকুর পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এর আগে এপিবিএনের একজন কর্মকর্তা ইংল্যান্ড থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন। স্কোয়াডে শেম, কোরি, ডিজেল, ডাই, বেক্স, বো, ফিন ও রক নামের উন্নত প্রজাতির ৮ কুকুরের মধ্যে ৪ টি জার্মান শেফার্ড ও ৪ টি লেবরাডুর রিট্রাইভারস। বিমানবন্দরে অবৈধ মালামাল পাচার ও চোরাচালান রোধে এ স্কোয়াড কাজ করবে। শেফার্ড ও লেবরাডুর প্রজাতির কুকুর খুবই ধূর্ত, সাহসী ও বুদ্ধিমান হয়। প্রশিক্ষণ পেলে তারা নির্দেশনা অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম। এপিবিএনের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম খান জানান, কুকুরগুলো মাদক, অস্ত্র, বিস্ফোরকসহ ক্ষতিকর বস্তু শনাক্তে পারদর্শী। ঢাকার পরিবেশের সঙ্গে এবং যারা পরিচালনার দায়িত্বে আছেন, তাদের সঙ্গে খাপখাইয়ে নিতে কুকুরগুলোকে দু’মাসের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এরপর কুকুরগুলোকে টেস্ট শেষে বিমানবন্দরের নিরাপত্তার কাজে ব্যবহার করা হবে। এর আগে বিজিবি, র্যাব, ডিএমপির ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে এক্সপ্লোসিভ ডিটেকশনের কাজ করা হতো। এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের চাহিদার ভিত্তিতে নিজস্ব ডগ স্কোয়াডের জন্য ৮টি কুকুর পুলিশ সদর দফতর আমদানি করেছে। গতবছর মার্চে নিরাপত্তার কারণে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সরাসরি কার্গো ফ্লাইট পরিচালনার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে যুক্তরাজ্য। চলতি বছরের ১ জুন ইউরোপিয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশেকে হাই রিস্ক দেশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে আকাশপথে কার্গো পণ্য পরিবহনে বিধিনিষেধ আরোপ করে। মূলত এরপরই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ আধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নজর দেয়।