টোকাই রাজার সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ বোয়ালিয়াবাসী
নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চল সদর দপ্তর রাজশাহী’র কয়েক জন কর্মকর্তাকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে শাহ্ রূপস ইন্টারন্যাশনাল নামক লাইন্সে এর মাধ্যমে রাজশাহী রেলওয়ে ষ্টেশনের ভেতরে অবস্থিত শাহ্ রূপস ইন্টারন্যাশনাল হোটেল এন্ড রেষ্টুরেন্টটি রি-টেন্ডারের মাধমে লিজ গ্রহন করে অনত্র মাসিক চুক্তিতে ভাড়া প্রদান করে সন্ত্রাসী আনোয়ার হোসেন রাজা। পরবর্তীতে আবারে শাহ্ রূপস ইন্টালন্যাশনাল লাইন্সের কর্নধর সন্ত্রাসী আনোয়ার হোসেন রাজার সকল কাজের অর্থ যোগান দাতা মোঃ আলাউদ্দিন এর ঠিকাদারী লাইসেন্স এ রেলওয়ের কতিপয় কর্মকর্তাকে হুমকি প্রদান করে লিজ নেয় এবং মাসিক চুক্তিতে ভাড়া প্রদান করে প্রতি মাসে ভাড়া তুলে ভোগ করতে থাকে রাজা ও আলাউদ্দিন। বর্তমান সরকারের দলীয় ছত্র ছায়াতে চলে আসে এক সময়ের মূর্খ টোকাই রাজা। টোকাই রাজা বর্তমান সরকার দলীয় বোয়ালিয়া থানার মূল দলের একটি গুরুত্বপূর্ন পদে আসীন রয়েছে এবং তার সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে সরকারের ভাবমূর্ত্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে জানান রাজশাহী’র বোয়ালিয়া থানার স্থানীয় এলাকাবাসী। আজ থেকে কয়েক মাস আগে রাজশাহী মটর শ্রমিক ইউনিয়ণ নির্বাচনে ব্যালট বাক্স ছিনতায়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলো রাজা বাহিনী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক করে একাধিক মটর শ্রমিক জানান, রাজা বাহিনী কৌশলে প্রশাসনের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় অংশ নেয় দুটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে। অতঃপর রেলওয়ে ষ্টেশন মসজিদ গলির ভিতর থেকে রাজার নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী পুলিশের উপর তাদের ইটপাটকেল ছুড়লে পুলিশ তাদের ধাওয়া করে আর সেই সুযোগে রাজা বাহিনীর আরেকটি গ্রুপ অপর দিক দিয়ে ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে নিয়ে যায়। ব্যালট বাক্স ছিনতাইকারী গ্রুপকে পুলিশ ধাওয়া করলে রাজা মূখে গামছা পেচিয়ে দেশিও অস্ত্র হাতে দলবল নিয়ে আবারো পুলিশকে ধাওয়া করলে পুলিশ টিয়ারশেল ও লঅবার বুলেট ছুড়তে থাকে। রাজার বুলেট এর মূখে রাজা বাহিনী পিছু সরে আসে। এভাবেই রাজাশাহী’র মটর শ্রমিক ইউনিয়ণের নির্বাচনে ব্যালট বাক্স ছিনতাই এর ঘটনায় অংশ নেয় রাজা বাহিনী। মূর্খ টোকাই রাজা এক ওয়াক্ত নামাজ পড়েনা অথচ দলীয় ছত্র ছায়ায়র দাপটে মসজিদ কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালণ খরৈ। রাজশাহী রেলওয়ে মসজিদ কমিটির বর্তমান সভাপতির দায়িত্ব পালণ করে। তার এই দায়ভার থেকে বুঝা যায় মুসলমানদের অবস্থান আজ কোথায়। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা মুমিন মুসল্লিদের বে-নামাজী সন্ত্রাসী রাজার সার্বিক দিক নির্দেশনা নিয়ে জীবন-যাপন করতে হয়।