ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধুরের ঘটনায় ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা


নয়ন বাবু, সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর ধামইরহাটে জমিজমা সংক্রান্তের জের ধরে আগ্রাদ্বিগুন ইউনিয়ন পরিষদে বিচার চলাকালীন সময়ে চেয়ারম্যান সালেহ উদ্দীনের বিরুদ্ধে শহিদুজ্জামান সরকার (২৫) নামের এক ছাত্রলীগ কর্মী কে গালিগালাজ, মারধুরের চেষ্টা সহ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নিয়ে বাজে মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। সে সময় ছাত্রলীগ কর্মী পরিষদ থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাবার পথে বিচারের বিবাদী গ্রুপের লোকজনের আক্রমনে গুরুত্বর আহত হয়ে বর্তমানে ধামইরহাট সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় থানায় ৬ জন কে আসামী করে একটি মামলা দায়ের হয়। ওই ছাত্রলীগকর্মী উপজেলার কামারখন্ড গ্রামের শরিফুল ইসলামের পুত্র বলে জানা গেছে। মামলা সুত্রে জানা গেছে, দীঘ ৭/৮ বছর আগে ছাত্রলীগ কর্মীর সংসারের খরজের জন্য টাকা প্রয়োজন হলে পার্শ্ববর্তী কাউটিপাড়ার তফিজ উদ্দীনের পুত্র আবু মূছা’র কাছে ৪৯ শতক জমি ৯০ হাজার টাকার বিনিময়ে বন্ধক রাখে। ওই টাকা পরবর্তীতে ফেরত দিয়ে জমির দখল নেওয়া হবে বলে ষ্ট্যাম্পে লেখা-পড়া করা হয়। পরবর্তীতে ছাত্রলীগ কর্মীর পরিবারের পক্ষ থেকে ৯০ হাজার টাকা আবু মূছা কে ফেরত দিতে গেলে সে বিভিন্ন প্রকার তালবাহানা করে এবং এক পর্যায়ে টাকা গ্রহন না করে আজীবন জমি চাষাবাদ করে ভোগ দখল করবে মর্মে প্রকাশ্যে হুমকী প্রদান করে।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগ কর্মী শহিদুজ্জামান সরকার বাদী হয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান আবু সালেহ উদ্দীন এর কাছে অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় চেয়ারম্যান উভয়পক্ষকে অবগত করে এবং ঘটনারদিন গত ২৩ সেপ্টেম্বর বেলা আড়াই টায় ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে দু’পক্ষকে নিয়ে বিচারে বসে। বিচার চলার একপর্যায়ে চেয়ারম্যান সালেহ উদ্দীন বাদী ছাত্রলীগ কর্মী শহিদুজ্জামান সরকারের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, বংলাদেশ ছাত্রলীগ নিয়ে বাজে মন্তব্য সহ মারধুরের চেষ্টা করলে বিচারে উপস্থিত স্থানীয়রা চেয়ারম্যান কে শান্ত করে ছাত্রলীগ কর্মীকে রক্ষা করে। সে সময় ছাত্রলীগ কর্মী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাবার পথেই পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী হত্যার উদ্যেশ্যে ছাত্রলীগ কর্মীকে মাটিতে ফেলে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা সহ এলোপাথাড়ী মারধুর শুরু করে। সে সময় ছাত্রলীগ কর্মীর চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে অভিযুক্তরা ছাত্রলীগ কর্মীর পকেটে থাকা জমি ফেরত নেওয়া বাবদ ৯০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে বিভিন্ন হুমকী দিয়ে পালিয়ে যায়। তাৎক্ষনিক স্থানীয়রা ছাত্রলীগ কর্মী কে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ধামইরহাট সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করায়। বর্তমানে ছাত্রলীগ কর্মী গুরুত্বর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। এ ঘটনায় পরের দিন গত রবিবার রাতে ছাত্রলীগ কর্মী বাদী হয়ে কাউটিপাড়ার মৃত: নছির উদ্দীনের পুত্র আবু মূছা (৩০), আবু সাত্তার (৫৫), তফিজ উদ্দীন (৫৬), সিরাজ উদ্দীনের পুত্র মোকলেছুর রহমান (৫১), মৃত: গফিল উদ্দীনের পুত্র মোহাম্মদ আলী (৫৫), এবং দক্ষিন কাশিপুর (বৈরাগীপাড়া)’র জাহির মুন্সীর পুত্র মনছুর (৫৭) কে আসামী করে ধামইরহাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ বিষয়ে কথা বলার জন্য আগ্রাদ্বিগুন ইউপির চেয়ারম্যান সালে উদ্দীন এর ব্যবহারকৃত ফোনে বার বার ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *