নোয়াখালীতে কালো মানিক ভি পি মোহাম্মদ উল্যার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন।

V P Mohammad
নাজিমুদ্দিন মিলন, নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা, জেলা আওয়ামীলগের সাবেক সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ভি পি মোহাম্মদ উল্যার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে আজ সকালে চৌমুহনী পাবলিক হলে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত বক্তব্য পাঠ করে ভি পি মোহাম্মদ উল্যা বলেন, সম্প্রতি একটি কুচক্রী মহল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল অফিসে আমার সম্পর্কে নানা রকম মিথ্যা বানোয়াট বিভ্রান্তিকর কাল্পনিক কাহিনী উপস্থাপন করে আমার মানহানি করেছে। তিনি তার তিব্র প্রতিবাদ জানান এবং তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জোর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। বেগমগঞ্জ উপজেলা যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গির আলমের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বেগমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি দুলাল মাষ্টার, দূর্গাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আবদুল মান্নান রানা, নরোত্তমপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ উল্যা সেলিম, ১৩ নং রসুলপুর ইউপি আওয়ামী লীগের নেতা মিন্টু সহ বেগমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, সে”্ছাসেবকলীগের নেতৃবৃন্দ প্রমুখ। দীর্ঘ সময়ের বক্তব্যে ভি পি মোহাম্মদ উল্যা আরো বলেন, যখন আমি সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র ১৯৬২ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব নোয়াখালী সফরে আসলে চৌমুহনী রেল ষ্টেশানে শ্লোগন দেওয়া অবস্থায় আমাকে জাতির জনক ট্রেনে নিজের বগিতে সাথে করে নিয়ে যান, সেই থেকে আমি জাতির জনকের ভক্ত হয়ে প্রত্যক্ষ রাজনৈতিক কার্যক্রমে জড়িত হয়। এবং আমার জীবনের শুরু হতে এই পর্যন্ত আমি আমার অর্থ এবং শ্রম দিয়ে আওয়ামীলীগের রাজনীতি করে যাচ্ছি। রাজনৈতিক জীবনে আমি ভোগে বিশ^াসী ছিলাম না। শুধু ত্যাগেই বিশ^াসী ছিলাম। আমার রাজনৈতিক জীবনে আওয়ামীলীগ তিন বার ক্ষমতায় এবং আমি পাঁচ বৎসর উপজেলা চেয়াম্যানের দায়িত্বে ছিলাম। কিন্তু আমি লোভ লালসায় অট্টালিকা না গড়ে আমার নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও সম্পত্তি দলের জন্য ব্যয় করে আজ আমি একটি ছোট্র বাসা ভাড়া করে থাকি। তিনি বলেন যাহারা আমার বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর কাহিনী উপস্থাপন করছে, তারাই ফেসবুক সহ সামাজিক মাধ্যমে আমার সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের আন্দোলন, সংগ্রাম, জেল জুলুম ও ত্যাগ তীতিক্ষার কথার স্বরন করে আমাকে স্যালুট জানিয়ে আমার দীর্ঘায়ু কামনা করলো। কিন্তু আজ যখন আমি তাদের কাছে মুক্তিযোদ্ধা সনদের দাবী জানালাম এবং মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল অফিসে বঙ্গবন্ধুর ছবি নাই তার জন্যে প্রতিবাদ জানিয়ে বললাম যে অফিসে মুজিব নাই, সেই অফিসে আমি নাই। সেই হতে সবাই কেমন যেন আমার প্রতি হিংসা ও চক্রান্ত শুরু করলো। তিনি তাহার বিরোধি পক্ষকে প্রশ্ন রাখলেন। আমি যদি যুদ্ধপরাধী হই, ১৯৭১ সালে কিভাবে আমি স্বাধীন বাংলা ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক নির্বাচিত হই। বঙ্গবন্ধু কেন আমাকে ভালবাসতেন এবং বঙ্গবন্ধু আমাকে কালো মানিক ডাকতেন। ১৯৭৪ সালে আমি যখন অসুস্থ্য হই তখন বঙ্গবন্ধুর তদারকিতে ঢাকা হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে আমার চিকিৎসা করান। এবং বঙ্গবন্ধু ও শেখ কামাল প্রায় আমাকে দেখতে আসতেন। ১৯৯১ সালে ১৬ই ডিসেম্বর বোমা হামলায় যখন আমার চোখ আক্রান্ত হয়। তখন জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার জন্য কৃত্রিম চোখ সংযোজন করেন। আমার রাজনৈতিক গুরু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, জননেত্রী শেখ হাসিনা ও দেশ জাতির কাছে আমি একজন দেশ প্রেমিক স্বাধীনতা রনাঙ্গনের বীর যোদ্ধা। শুধু মাত্র চারজন ব্যক্তির ব্যক্তিগত আক্রোশে আমি দেশদ্রোহী। তাই এই বিচারের দায়ভার আমার জনগন ও মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষন করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *