জামালপুরে আবারও বন্যায় ৩০হাজার মানুষ পানি বন্ধী

islampur flood pic
ওসমান হারুনী,জামালপুর প্রতিনিধি: গত কয়েকদিনের ভারি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে জামালপুরে যমুনা নদীতে হুহু করে বৃদ্ধি পেয়ে আবারও বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে যমুনার তীরবর্তী দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলা সমূহের বন্যা পরিস্থিতি দ্রুত অবনতি হচ্ছে। এসব এলাকার প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পানি বন্ধী হয়ে পড়েছে। জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক (গেজ রিডার) আব্দুল মান্নান জানান,জেলার বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে গত গত ২৪ ঘন্টায় যমুনার পানি ৫৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। যমুনার পানি বর্তমানে পানি পরিমাপক স্কেলের ১৯.৪৯ মিটার পয়েন্টের উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে যমুনায় পানি পরিমাপক স্কেলের বিপদ সীমা ১৯.৫০ মিটার পয়েন্ট স্পর্শ করতে আর মাত্র ১ সেন্টিমিটার বাকি রয়েছে। স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, গত দুইদিনে যমুনার পানি বৃদ্ধিতে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর, মাদারগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলা সমূহের আভ্যন্তরীণ নদী-নালা ও খাল-বিল ভরে অসংখ্য বাড়িঘরে পানি উঠেছে। ইতোমধ্যেই জেলার ইসলামপুরের চিনাডুলি, বেলগাছা, সাপধরী, নোয়ারপাড়া, কুলকান্দি, পাথর্শী এবং দেওয়ানগঞ্জের চুকাইবাড়ী ইউনিয়ন সমূহের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ইসলামপুরের চিনাডুলি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম জানান, চিনাডুলি ইউনিয়নের পশ্চিম বামনা, দেওয়ানপাড়া, শিংভাঙ্গা, পশ্চিম বলিয়াদহ ও দক্ষিণ চিনাডুলি গ্রাম সমূহের অধিকাংশ বাড়িঘরে বন্যার পানি প্রবেশ করে ইতিমধ্যেই প্রায় ১০ হাজার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ওইসব এলাকার গ্রামীন রাস্তার উপর দিয়ে বন্যার পানি বইতে শুরু করেছে।
দেওয়ানগঞ্জের চুকাইবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো: সেলিম খান জানান, চুকাইবাড়ি ইউনিয়নের হলকা হাওড়াবাড়ী, টিনের চর, হলকারচার, ডাকাতিয়া পাড়া, কেনলাকাটা, বালুগ্রাম, গুজিমারী, চতলাই পাড়া, ও চুকাইবাড়ী মধ্যপাড়া গ্রাম সমূহের অধিকাংশ বাড়িঘরে বন্যার পানি প্রবেশ করে প্রায় ৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম এহছানুল মামুন জানান, গত কয়েক দিনের ভারি বর্ষণে ইসলামপুরে আবারও বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হয়েছে। তবে ইসলামপুরের পানিবন্দী মানুষের জন্য ৬টি আশ্রয়ন কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *