একুশ লাখ টাকার ঘাপলার তথ্য ও অডিট রিপোট তুলে ধরেন ঝিনাইদহে সাংবাদিক সম্মেলনে অধ্যক্ষ নিজেই চার শিক্ষক দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরী করার তথ্য ফাঁস করলেন
ঝিনাইদহ সংবাদদাতা: এবার সাংবাদিক সম্মেলন করলেন মাহতাব উদ্দীন ডিগ্রী কলেজের কথিত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ মন্ডল। তিনি নিজেই ফাঁস করলেন শহীদ নুর আলী কলেজের চার শিক্ষক সব্রত কুমার নন্দি, তার স্ত্রী মিতা বিশ্বাস, ফাতেমা আক্তার ও অমিত কুমার সেন একই সাথে মাহতাব উদ্দীন ডিগ্রী কলেজে চাকরী করছেন। তার খন্ডকালীন নয়, বরং স্থায়ী নিয়োগ পেয়েছেন। তবে তারা বেতন পান না। মাজিদ মন্ডলের ভাষ্যমতে চার শিক্ষক নিয়মিত কলেজ করেন। এখন প্রশ্ন উঠেছে তারা তো শহীদ নুর আলী কলেজ থেকে বেতন নেন। তাহলে কি তারা নুর আলী কলেজ ফাঁকি দেন? মিতা বিশ্বাস সরকারী প্রাইমারিতে চাকরী করেন। কি ভাবে তারা একই সময়ে দুই প্রতিষ্ঠানে ক্লাস নিচ্ছেন? এ সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন নি মজিদ মন্ডল। কথিত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ মন্ডলের বিরুদ্ধে একাধিক দৈনিকে তথ্য ভিত্তক খবর প্রকাশের পর তিনি নিজের চাকরী বাঁচাতে বৃহস্পতিবার এই সাংবাদিক সম্মেলন ডাকেন কলেজে। তবে তার পাশে কাউকে দেখা যায়নি। তিনি একাই বক্তব্য দিচ্ছেন। তিনি দাবী করেন মাহতাব উদ্দীন ডিগ্রী কলেজে যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তার কাছ থেকে কোন টাকা গ্রহন করা হয়নি। এ ক্ষেত্রে তিনি “আমার জানা মতে” শব্দটি ব্যবহার করেন। সাংবাদিক সম্মলনে তিনি অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে একুশ লাখ টাকার ঘাপলার তথ্য ও অডিট রিপোর্ট তুলে ধরেন। তবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. মাহবুব আদালত থেকে দোষী কিনা তার তথ্য দেখাতে পারেনি। তিনি কিছু আইনী কাগজপত্র দেখান।