বাবারে, কারেন্ট যাইতে দেখিনা, মাঝে মধ্যে ফুসকি দিয়া আইতে দেখি, অতিষ্ট আছে কুষ্টিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির গ্রহকরা।
হেলাল উদ্দিন,দৌলতপুর প্রতিনিধি( কুষ্টিয়া): কারেন্টের লোড শেডিং এর কারনে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের মানুষের জনজীবন অতিষ্ঠ ,কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকে শুরু হয়ে গভীর রাত পর্যন্ত চলে একাধিকবার লোডশেডিং।এতে
করে জনজীবন হয়ে পড়েছে বিপন্ন। শহরে মাঝে মধ্যে বিদ্যুৎ আসলেও গ্রামের অবস্থা খুবই ভয়াবহ। সারাদিনে দুই থেকে তিন ঘণ্টার বেশি
বিদ্যুৎ পাচ্ছেনা দৌলতপুর বাসী। উপজেলার খলিসাকুন্ডি ,আড়িয়া,বড়গাংদিয়া, শ্যামণগর পিপুলবাড়ীয়া,মৌবাড়ীয়া,এলাকায় বিদ্যুৎ থাকছেনা বলেও অভিযোগ করছেন গ্রাহকরা। তাদের আরো আভিযোগ, যখন বিদ্যুৎ থাকেনা তখন কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিসের হট লাইনের সেল ফোন ব্যস্ত করে রাখা হয়। আবার রিসিভ করলেও ঠিকমত তথ্য দেওয়া হয় না। তাপদাহ যত তীব্র হয়, বিদ্যুতের লোডশেডিং যেন ততই পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে। দিনে কয়েক ঘণ্টাব্যাপী লোডশেডিং দিয়ে শুরু হয় প্রথম ধাপ। সন্ধ্যার পরে দ্বিতীয় ধাপে গভীর রাত পর্যন্ত চলতে থাকে বিদ্যুৎ দেয়া নেয়ার খেলা। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে বিদ্যুৎ সংকটের ফলে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে ছোট-বড় কলকারখানাসহ বিদ্যুৎ নির্ভরশীল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া, অফিসিয়াল কার্যক্রমসহ হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা হচ্ছে চরমভাবে ব্যহত। বিদ্যুতের এমন ভেলকিবাজিতে অনেকেই তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছেন। এলকাবাসীর বিভিন্ন মতামতে জানাযায়,আকাশে বিদ্যুৎ চমকালে কিংবা একটু বাতাসের চাপ থাকলেই বিদ্যুৎ চলে যায়। বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ফলে পানির সংকট দেখা দেয়।, ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে পল্লী বিদ্যুৎ জোনের প্রায় শতভাগ গ্রাহকের জনজীবনসহ ব্যবসা-বানিজ্য পড়েছে বিপর্যয়ের মুখে।