মহেশপুরে অস্ত্র ঠেকিয়ে অপহরনের পর ৪০ হাজার টাকায় মুক্ত
জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহ: মহেশপুরে সংখ্যালঘু পরিবারের ৫ম শ্রেনীর এক ছাত্রকে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে অপররপনের পর প্রায় ৪০ হাজার টাকা চাঁদা নিয়ে মুক্তি দিয়েছে অপহরনকারীরা। পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, রবিবার রাত আনুমানিক আড়ায়টার দিকে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের দাষ পাড়ার সাধনের ছেলে ৫ম শ্রেনী পড়ুয়া বিপুল (১৩) কে মুখোশধারি অপহরনকারি ঘুমন্ত অবস্থায় মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে ডেকে অপহরন করে নিয়ে যায়। এ সময় তার পিতাকে ডেকে মোবাইলটি ছিনিয়ে নেয় এবং ২০ মিনিটের মধ্যে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে না দিলে ছেলেকে আর জীবিত পাবিনা ও পুলিশ বা কাওকে জানালে বোমা মেরে তোদের পাড়া উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। পরে অপহৃত বিপুলের পিতার নিকট থেকে ছিনিয়ে নেওয়া মোবাইল থেকে তার চাচার নম্বরে ফোন দিয়ে দাবিকৃত টাকা দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। টাকা দিতে দেরি হওয়ায় অপহৃত বিপুলকে শারীরিক নির্যাতন করে। কোন উপয় না পেয়ে অপহৃত বিপুলের পিতা ধার করে ৩৮ হাজার টাকা জোগাড় করে মির্জপুর-মান্দারবাড়ীয়া সড়কের বড়বিল নামক রাস্তার উপর থেকে চাদার টাকা দিলে তার ছেলেকে ফেরত দেয়। এ ব্যাপারে ঐ গ্রামের গ্রাম পুলিশ মধু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন আমি জানার পরে ঐ রাত্রেই মহেশপুর থানার ওসি স্যারকে কয়েকবার ফোন দিলেও স্যার ফোন রিসিভ করেননি তবে ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে স্যার ফোন ব্যাক করলে আমি ঘটনা জানিয়েছি। এ ব্যাপারে মহেশপুর থার অফিসার ইনচার্জ আহম্মেদ কবির জানান, এ বিষয়ে কোন তথ্য আমাদের কাছে নেই তবে অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে সংখ্যালঘু এ পাড়াটি এখন অপহরনকারীদের আতঙ্কে আতঙ্কিত। কখন জানি অপহরনকারীরা এসে আবার কার সন্তান অপহরন করে নিয়ে যেয়ে চাঁদা দাবি করে। এ রিপোট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে।