ঝিনাইদহে শ্রম আইনের তোয়াক্কা না করেই শিশুরা হেলপার, ঘটছে র্দুঘটনা দেখার কেউ নেই !
জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহ সংবাদদাতা: ২০১৩ সালের শ্রম আইনে বলা হচ্ছে ১৮ বছরের নিন্মে কোন শিশু দিয়ে কোন কাজ করানো যাবে না। কিন্তু সরকারের এই আইনকে বৃদ্বাআঙ্গুল দেখিয়ে এক শ্রেনীর মালিকেরা তাদের দিয়ে ভারী কাজ করাচেছ। ঝিনাইদহ জেলার কোথাও মানা হচ্ছে না শ্রম আইন। শ্রম বিষয় আইন থাকলেও প্রয়োগের অভাবে ঝিনাইদহের যানবাহন মালিকেরা শিশুদের দিয়ে বাস, ট্রাক ও মাইক্রোর হেলপারি করাচ্ছে। আমাদের দেশের গরীব পিতামাতা সংসারের উপার্জন বাড়াতে শিশুদের কাজে পাঠিয়ে থাকে। আর এই অসহাত্বের সুযোগ নিয়ে যানবহন মালিকেরা শিশুদের দিয়ে হেলপারি করাচ্ছে। রেডিও ও টিভিতে বিভিন্ন রকম বিজ্ঞাপন ও নীতি বাক্য শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা হয়ে হয়ে গেলেও সচেতনার অভাবে কোন কিছুই করা হচ্ছেনা। এ বিষয় ঝিনাইদহ জেলা শিশু বিষয় কর্মকর্তা আইয়ূব হোসেন জানান, ৫-১৮ বছরের শিশুদের দিয়ে শ্রমিকের কাজ করানো যাবে না। চরমভাবে অন্যায় হচ্ছে। সরকার এ বিষয় নিয়ে কাজ করছে। তাই আমাদের মত গরীব দেশে শিশু শ্রম শুন্যয় আনা সম্ভব হবে না। তবে আস্তে আস্তে এর হার হ্রাস পাবে। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের চিকিৎক ডাঃ তারিক আকতার খান বলেন, শিশুদের দিয়ে ঝুকিপূর্ন কাজ করানো ঠিক হবে না। শিশুদের দিয়ে ঝুকিপূর্ন ও ভারী কাজ করালে শিশুরা অল্প কিছু দিনের মধ্যে শাররীকভাবে অক্ষম হয়ে পড়বে। ফলে পরবর্তীতে অন্য কোন কাজ করতে পারবে না। এ ব্যাপারে সকল শিশুদের প্রতি আমাদের নজর রাখতে হবে। এক শ্রেনীর সচেতন মহল মনে করছেন শিশু আইনের অবহেলা না করে আইনের যথার্থই প্রয়োগ করা হোক। শিশুদের সামাজিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে তারা সরকারের প্রতি আহবান জানান।