প্রধান শিক্ষক এর কাছে ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী নির্যাতিত।

20170717-120232
হালিমা খাতুন ফটো রিপোর্টার: ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুন্ডু উপজেলার ৭নং রঘুনাথপুর ইউনিয়নের ৮৬নং টাকিয়ারপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মাহাবুবুল ইসলাম স্যার এর কাছে ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী সীমা নির্যাতিত। ঐ এলাকার বিভিন্ন মানুষের তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারলাম ১৬/০৭/২০১৭ ইং তারিখ টিফিন টাইমে সীমাকে ডেকে তার শারীরিক নির্যাতন করে। সীমা বাসায় গিয়ে সীমা ও সীমার পিতা মোঃ লালটু মন্ডল এর কাছ থেকে সরাসরি স্বাক্ষাৎকারে জানতে পারলাম ঘটনা সত্য। সীমা আরো বলেন আমি স্কুলের নার্গিস ম্যাডাম এর কাছে কান্নাকাটি করলে সে বলে এটা মান-সম্মান এর ব্যাপার কাউকে বলো না। আমি নার্গিস ম্যাডাম এর কাছে জানতে চাইলে সে স্বীকার করে সীমা কান্নাকাটি করেছে কি হয়েছে আমি বলতে পারব না। স্কুল সভাপতি জাহিদুল ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে সে নিরব থাকে। ঐ এলাকার বিভিন্ন মানুষের মাধ্যমে জানতে পারলাম এর আগেও এমন তিন চার জনের ঘটনা ঘটেছে। এর আগের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার স্ত্রী আত্মহত্যা করে মারা যান। মাহাবুবুল স্যার এর নির্যাতনের কারণে ঐ স্কুলে ৫ম শ্রেণির ছাত্রী শাহিনা, পিতা- আলাসার, গ্রাম- টাকিয়ারপোতা সেও আত্মহত্যা করে মারা যান। একজন স্কুল এর স্যার ঐ স্কুলের সকল ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবক। শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। শিক্ষা ছাড়া কোন জাতি উন্নতি লাভ করতে পারে না। জ্ঞান অর্জন করতে গিয়ে মান সম্মান এর উপর আঘাত হানি এটা কোন শিক্ষক নই। ঐ স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী, পিতা-মাতা সন্তানকে স্কুলে পাঠিয়ে দিয়ে দুশ্চিন্তার মাঝে থাকে তাদের সন্তানদেরও এমন ঘটনা ঘটতে পারে।৭নং রঘুনাথপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড এর ইউপি সদস্য মোঃ ছরোয়ার মেম্বার ও ৫নং ওয়ার্ড এর আওয়ামীলীগ সভাপতি শরিফুল ইসলাম বলেন এসব ঘটনা মিথ্যা। আমরা জানতে চাইলে আমাদের উপর উত্তেজিত হয়ে পরে। তারা কি চাই না তাদের সন্তান সুশিক্ষাই শিক্ষিত হোক। তারা কি চাই এই মাহাবুবুল স্যার বার বার এমন ঘটনা ঘটাক আর তাদের পকেট মোটা হোক। ঐ এলাকার মানুষের একটাই কথা মাহাবুবুল স্যার এর বিচার চাই। ৭নং রঘুনাথপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাসেল সাহেবের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে ০১৭৯২-১২৮৪২৮ রাসেল সাহেব বলেন ঘটনা সত্য আমি প্রশাসনকে বলেছি ৮৬নং টাকিয়ারপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাহাবুবুল স্যার এর যোগদানের তারিখ ০১/০১/১৯৯১। ঐ এলাকার সকল মানুষের কথা একটাই মাহাবুবুল স্যার এর বিচার চাই

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *