অবশেষে যশোর-বেনাপোল সড়কের শতবছরের ঐতিহাসিক ৩ হাজার মূল্যবান গাছ গুলো না কাটার সিদ্ধাšত নিয়েছে সরকার —-
শেখ নাছির উদ্দিন বেনাপোল যশোর :অবশেষে বেনাপোল-যশোর সড়কের শতবছরের ঐতিহাসিক ৩ হাজার মুল্যবান গাছগুলো না কাটার সিদ্ধাšত নিয়েছে সরকার। প্রাচীন এসব রেইনট্রি, শিশু ও কড়ই গাছ না কেটেই জাতীয় এই সড়কটি স¤প্রসারণের নীতিগত সিদ্ধাšত মন্ত্রণালয় থেকে যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগকে জানানো হয়েছে। সড়কের শতবছরের বিভিন্ন জাতের ৩ হাজার গাছ কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরিবেশবাদী ও সাধারণ মানুষ’র পক্ষ থেকে উদ্বেগ জানিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়। পরিবেশের উপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এইি আশংকায় সরকার গাছ না তাটার সিদ্ধান্ত গ্রহন করে। স¤প্রতি এসব গাছ না কাটার জন্য চিঠি এসেছে। যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্র জানায়, গত মার্চে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) নির্বাহী কমিটিতে যশোর-খুলনা ও যশোর-বেনাপোল জাতীয় মহাসড়ক স¤প্রসারণ ও টেকসই উন্নয়নের জন্য ৬শ’৫০ কোটি ৪৮ লাখ ৭৩ হাজার টাকার দু’টি প্রকল্প পাস করা হয়েছে। প্রকল্প দু’টির আওতায় বেনাপোল যশোর জাতীয় মহাসড়কের যশোর শহর থেকে বেনাপোল চেকপোস্ট পর্যšত ৩৮ দশমিক ২০০ মিটার পুননির্মাণ করা হবে। সড়কটির দু’পাশে তিন মিটার প্রশ¯ত করন ও পুননির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩শ ২৮ কোটি ৯২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। এই মহাসড়কের দু’পাশে দুই হাজার ৩১২টি রেইনট্রি, সহ ৩ হাজার শিশু, কড়ই গাছ রয়েছে। সড়কটির দু’পাশে তিন মিটার প্রশস্ত করা ও পুননির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩শ ২১ কোটি ৫৬ লাখ ১৮ হাজার টাকা। উভয় মহাসড়কের পাশ থেকে বিদ্যুৎ ও টেলিফোনের পুল সরিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে চিঠি দিয়েছে যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগ। সে সময় এসব গাছ না কেটে উন্নয়ন চালিয়ে যাওয়া সংক্রান্ত একাধিক সংবাদ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। তবে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক গাছগুলো কাটার পরিকল্পনা থেকে সরে এসে গাছ রেখেই রা¯তা পুননির্মাণে পরিকল্পনার কাজ শুরু করেছে সওজ। চলতি মাসেই এই উন্নয়ন কাজের দরপত্র আহ্বান করা হতে পারে। যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ছোলজার রহমান বলেন, এই মহাসড়কে প্রায় ৩০ ফুট কংক্রিটের আ¯তরণ রয়েছে। এ ছাড়া দু’পাশে ঢাল রয়েছে আরও ছয় ফুট করে। এই হিসাবে মহাসড়কটির প্রস্থ গড়ে ৪০ ফুট। এই ৪০ ফুট প্রশস্থতাকে মিটারে রূপান্তর করা হলে দাঁড়াবে প্রায় ১২ মিটারে। আর ৭৬ কিলোমিটার রাস্তা মিটারে রূপান্তর করে গণনা করলে দাঁড়াবে ৭৬ হাজার মিটারে। এর সঙ্গে মহাসড়কের ১২ মিটার প্রশ¯ততা গুণ করলে দেখা যাবে এ মহাসড়কে ৯ লাখ ১২ হাজার স্কয়ার বিস্তৃত ক্যানোপি বা সবুজ পাতার আচ্ছাদন রয়েছে। মহাসড়ক স¤প্রসারণের জন্য এত সংখ্যক বৃক্ষ নিধন পরিবেশে বিরূপ প্রভাব ফেলতো। মরুকরণ প্রক্রিয়া তরান্বিত ছাড়াও কৃষি ও জীববৈচিত্র্য ক্ষতিগ্র¯ত হতো। যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মেহেদী ইকবাল বলেন, গাছ না কেটে মহাসড়ক দু’টির পুননির্মাণের জন্য স¤প্রতি মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা পেয়েছি। সে মোতাবেক কাজ চলছে, আশা করি দ্রুত টেন্ডার আহ্বান করতে পারবো।