পাবনার খালিশপুর বাজারে ৩ শত বছরের ঐতিয্যবাহী পুরাতন বটগাছটি উপড়ে পড়ায়-দোকান ঘর ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে
এম মনিরুজ্জামান: পাবনা সদর উপজেলার সাদুল্লাহপুর ইউনিয়নের পাবনা-সুজানগর সড়কের খালিশপুর বাজারে প্রায় ৩ শত বছরের ঐতিয্যবাহী পুরাতন বটগাছটি সোমবার বেলা ১১.৩০ ঘটিকায় হঠাৎ করে উপড়ে পড়ে গেছে বলে জানা যায়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় অনেক জায়গা জুড়ে বিশাল আকৃতির বটগাছটি বেশ কিছু দোকানঘর নিয়ে সাদুল্লাহপুর কোলের মধ্যে পড়ে রয়েছে। খালিশপুর গ্রামের আব্দুল খালেক জানান কয়েক দিন ধরে মুসুলধারের বৃষ্টি হওয়াতে বটগাছটির এক পাশ থেকে মাটি কেটে চলে গিয়ে গাছের গোড়া নরম হয়ে পড়াতে ঐতিয্যবাহী পুরাতন বটগাছটি উপড়ে পড়েছে। ঐতিয্যবাহী পুরাতন বটগাছটি পড়ে যাওয়াতে এলাকার সমন্ত মানুষ আবেগ প্রবন হয়ে পড়েছে। আলী আশরাফ জোয়ার্দ্দার বলেন বাপ-দাদা মুখ থেকে গল্প শুনেছি দুবলিয়া-সাদুল্লাহপুর কোল (নদী) যখন শ্রোতের প্রবাহ ছিলো বড় বড় নৌকা নিয়ে জেলেরা মাছ ধরতেন, প্রচন্ড রোদ থাকায় এলাকার জেলেদের বিশ্রামের কোন গাছ না থাকায়। এ অবস্থা দেখে এক জেলের বউ জৈনিক জেলেনি বটগাছের চারাটি প্রায় ৩ শত বছর আগে রোপন করেন। এর পর থেকে মাছ ধরা শেষে একটু বিশ্রামের জন্য জেলে ও এলাকাবাসী আসতেন এ বটবৃক্ষ ছাঁয়াতলে। সেই থেকে ক্রমে ক্রমে দোকান পাট বসতে শুরু করে, বর্তমানে খালিশপুর মোড়ে শতাধিক বিভিন্ন ধরনের মার্কেট ও দোকান ঘরসহ বাজার নামে পরিচিত হয়েছে। বটগাছটি পড়ে যাওয়াতে গাছের নিচে থাকা পাঁচটি দোকান ও বিদ্যুৎ লাইন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। দোকান ঘরের মালিক খালিশপুর গ্রামের মৃত নজির উদ্দিন শেখের ছেলে তোয়াজ উদ্দিন শেখ ও নাদের হোসেন জোয়ার্দ্দারের ছেলে আলী আশরাফ জোয়ার্দ্দার দাবী করেন তাদের প্রায় ১০লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ভাড়াটিয়া মুদি দোকানদার আসলাম মন্ডলের ৩ লাখ, মুদি ও চায়ের দোকানদার বছির মন্ডলের ৫০ হাজার, মেশিন ও ভ্যান গাড়ীর পার্সের দোকানদার সাহেব আলী শেখের ৭০ হাজার, চায়ের দোকানদার বন্দের মন্ডলের ৫০ হাজার ও ক্যাবল ব্যবসায়ী আলী আশরাফের ৯০ হাজার টাকার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে তারা দাবী করেন।