নাটোরের তমালতলা-মল্লিকপুর রাস্তায় নি¤œমানের খোয়া ব্যবহারের অভিযোগ

Natore (Bagatipara_Tomaltola-mollikpur_Road) Pic_20-07-2017-02
নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার তমালতলা-মল্লিকপুর নদীর ঘাট রাস্তা নির্মাণ কাজে নি¤œমানের খোয়া ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলেও কোন কাজে আসছেনা বরং ঠিকাদারের লোকজন প্রতিবাদকারীদেরকেই উল্টো ভয়ভীতি দেকাচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়। সকালে সরেজমিনে গিয়ে এলজিইডি অফিসের কোন কর্তাব্যক্তির দেখা মেলেনী। সূত্রে জানা যায়, টেন্ডার হওয়া এই রাস্তাটির কাজ (১১/০৯/২০১৬ ইং থেকে ১০/০৩/২০১৭ ইং তারিখ) ছয় মাসের মধ্যে শেষ করার কথা থাকলেও বর্তমানে প্রায় ১১ মাস হতে চলেছে তবুও ৪০ ভাগ কাজ শেষ হয়নি। বাগাতিপাড়া উপজেলা প্রকৌশলীর দাবী নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে না পারায় আমরা উর্ব্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার ওই রাস্তায় নি¤œমানের খোয়া দিয়ে কাজ করায় স্থানীয়রা প্রাতিবাদ করলে কাজের সাইডে থাকা ম্যানেজার সাজু প্রতিবাদকারীদের সাথে অসদাচরণ করেন। উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তরের দায়িত্বশীল একজন থাকার কথা থাকলেও সরেজমিনে তাকে পাওয়া যায়নি। কাজিরচক মালঞ্চি গ্রামের বেল্লাল হোসেন জানান, ‘রাস্তায় খারাপ খোয়া ফেলতে আমি নিষেধ করলে ম্যানেজার আমাকে ধমক দিয়ে বলে কাজে বাধা দিলে পুলিশ নিয়ে এসে কাজ করব।’ একই এলাকার ফিরোজ হোসেন বলেন, রাস্তার কাজ চলাকালীন সময়ে এলজিইডি অফিসের কাউকে দেখা যায়না। রাস্তায় নি¤œমানের কাজের প্রতিবাদ করলে ম্যানেজার বলে স্থানীয় ইঞ্জিনিয়ার অফিস ম্যানেজ করে কাজ করলে আপনাদের সমস্যা কি?’ স্থানীয় আবুল হোসেন জানান, ‘দীর্ঘদিন রাস্তাটি খুড়ে রাখায় আমাদের দূর্ভোগ দিন দিন বেড়েই চলেছে। এই রাস্তা দিয়ে খন্দকার মালঞ্চি, কাজিরচক মালঞ্চি ও নূরপুর মালঞ্চি সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের প্রায় চার থেকে পাঁচ হাজার মানুষ আসা-যাওয়া করে। হাটা-চলার সাথে সাথে মাঠ থেকে কৃষি ফসল আনা নেয়ায় ব্যপক সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।’ সরকারী সংশ্লীষ্ট দপ্তরের কর্তাব্যাক্তিদের তদারকিতে সঠিকভাবে রাস্তার কাজটি দ্রুত সম্পূর্ণ হবে এমনটাই প্রত্যশা এলাকাবাসী। এব্যপারে বাগাতিপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী এএসএম শরিফ খান বলেন, ‘অফিস ম্যনেজ করার কথাটি সঠিক নয়, নি¤œমানের খোয়া দিয়ে কাজ করার অভিযোগ পাওয়ামাত্রই ওই সড়কের কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছি। তারপরেও কাজ করে থাকলে তা কোনভাবেই বুঝ নেয়া হবেনা। ওই কাজ দেখার জন্য ওয়ার্ক এসিসটেন্ট বজলুর রশীদ সেখানে রয়েছে। আর নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে না পারার বিষয়ে আমারা উর্ব্ধতন কর্তৃপক্ষকে অনেক আগেই লিখিতভাবে জানিয়েছি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *