ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার কাঠালডাঙ্গী বাজারের উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি বেহাল অবস্থা

bhaturiya-clinick_83786-500x350
জে. ইতি হরিপুর, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: বিদ্যুৎ নেই, টয়লেট নেই, আসবাব পত্র অকেজো, চিকিৎসকদের বসার চিয়ার অনুপযোগী রোগীরা দাড়িয়ে থাকে শুওয়ার বেড অনেক আগে থেকেই নেই। গরীবের হাসপাতাল নামে খ্যাত ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার ৬ নং ভাতুরিয়া ইউনিয়নের কাঠালডাঙ্গী বাজার উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি। বহুবিধি সমস্যার ভারে এখন নিজেই রোগী। সরেজমিনে জানা গেছে ৬৫ এর দশকে ভাতুরিয়া ইউনিয়নের কাঠালডাঙ্গী বাজার নামক স্থানে ৫০ শতক জমিতে স্থাপিত হয় উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি। জনগণ কাঠামো অনুযায়ী উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে একজন এমবিবিএস ডাক্তার, একজন সহকারি কমিনিট ম্যেডিকেল অফিসার অফিসার, একজন ফার্মাসস্টি ও একজন এমএলএসএস পদ রয়েছে। শুরুতেই এক সব পদে কর্মচারী থাকলেও গত একযুগের বেশি সময় ধরে একটি পদ ছাড়া সকল পদ শূণ্য রয়েছে এতে কাঠালডাঙ্গী উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে সেবা নিতে আসা এলাকার হাজার হাজার গরীব অসহায় সাধারণ মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে দিন দিন ইউনিয়ন বাসীর মাঝে শুধুই ক্ষোভ বাড়ছে। উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি দেখলেই বোঝা যায় প্রাচীর স্থাপিত শৈলীর এক অপূর্ব নিদর্শন । কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হয় সংশ্লিষ্ট বিভাগে কর্তৃপক্ষের রক্ষণাবেক্ষনের অভাব এবং কোয়াটার গুলো অব্যাবহৃত অবস্থায় ফেলে রাখার কারণেই বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয়ের নির্মিত ঘরগুলো আজ প্রায় বিলুপ্তির পথে। এখানে পর্যপ্ত পরিমাণ ওসুধ সরবরাহের ব্যবস্থাও নেই। উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি পরিদর্শনেও যাননা উচ্চ পদের কেউ। অভিভাবক শূণ্যদের উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটির এ অবস্থার ফলে চিকিৎসা কার্যক্রম চরম ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। প্রতিদিন এলাকার মানুষ জরুরি চিকিৎসা নিতে এসে বিমুখ হয়ে ফিরে যান। দিনে দিনে এমন চিকিৎসাহীনতায় ক্ষুব্ধ-বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে এলাকার সাধারণ মানুষ। ডাক্তারদের কোয়াটার ও তৃতীয় শ্রেণীর কোয়াটার অনেক আাগেই পরিত্যাক্ত ঘোষনা করা হয়েছে। বিগত প্রায ২০ বছর আগে সীমানা প্রাচীর ভেঙে গেলেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। বাউন্ডারী ওয়াল না থাকায় পার্শ্ববর্তী জমির মালিকেরা দিনের পর দিন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ঘরগুলোসহ ফাকা জায়গা জবর দখল করে ব্যবহার করছে এমনটি চিত্র দেখা গেছে গত বুধবারে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ভাতুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান সরকার জানান, প্রশাসনের উদাসীনতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে ঘরগুলোতে খড়খুটা, ভুষি, গাছের গুড়ি রেখেছে আশেপাশের লোকজন বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানটির অবস্থা খুবই নাজুক। দায়িত্বে থাকা, উপসহকারী কমিউনিটি ম্যেডিকেল অফিসার সোহেল জানান, ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একটি লিখিত ভাবে অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
হরিপুর উপজেলা স্থাস্থ্য কেন্দ্রে টিএইচ ডাঃ আব্দুল সামাদ জানান, শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *