জামালপুরের ইসলামপুরে ৮ শতাধিক প্রতিবন্ধী পরিবারের মানবেতর জীবন যাপন
ওসমান হারুনী,জামালপুর প্রতিনিধি: বন্যা কবলিত জামালপুরের ইসলামপুরে ৮শ’ প্রতিবন্ধী পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছেন। প্রায় ১২ দিন পার হলেও; পাননি এক ছটাক ত্রাণসামগ্রী। পাথর্শী ইউনিয়নের জারলতলা গ্রামের প্রতিবন্ধী আঃ করিম ক্যাচের উপর ভরকরে বন্যার পানি ভেঙে যাচ্ছিলেন খাবার সংগ্রহ করার জন্য। তিনি আক্ষেপ করে বলেন ও সাংবাদিক ভায়েরা বন্যার পানিতে মাচার উপর ১২দিন সময় কেটে গেলেও ত্রাণ পাই নি। বন্যার পানিতে মরেগেলাম না বেচে থাকলাম খবরও কেও নেয় নি। দেলীরপাড় গ্রামের প্রতিবন্ধী হবিবর রহমান হবি ট্রাইসাইকেলে বসে জানান ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছি। কেও ত্রান দিবেন কি না? এমন প্রশ্ন করেন সাংবাদিকদের কাছে। ঘরের মেঝেথেকে মাটি সরে ঘরবাড়ী ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে। চৌকির উপর চৌকি দিয়ে রাত্রি যাপন করছি। ঘরবাড়ী ভেঙে গেছে। একটু বৃষ্টিতেই সপরিবারে কাকভেজা হতে হয়। রাতে বিষধর সাপও উঠে আসে। টিউবওয়েল বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। জীবন বাচানোর জন্য দূষিত বন্যার পানি পান করছি। ঐখান থেকে পাচঁ শত মিটার দূরেই পতিবন্ধী সামিউল হক সাদাছরি হাতে নিয়ে ঘরথেকে বেরহতে এই প্রতিনিধির সামনে পড়েযায়। চোঁখে দেখেনা মনের জুড়ে সাদাছরির সাহাযে এগিয়ে যাচ্ছে দৃষ্টিহিন প্রতিবন্ধী। জামালপুর জেলার ডিজাএ্যাবল্ড পিপলস অর্গানাইজেশন টু ডেভেলপমেন্ট (ডিপিওডি) মোবারক হোসেনের সাথে প্রতিবন্ধীদের সম্পর্কে জান্তে চাইলে তিনি জানান- ইসলামপুরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ প্রতিবন্ধী প্রায় ৮ শত পরিবারের প্রায় ৫ শত ঘর বাড়ীতে বন্যার পানি উঠেছিল। ঘরের মেঝেতে পানি উঠার কারনে অনেক প্রতিবন্ধীরা গবাদী পশু হাসঁ মুরগী নিয়ে উচুঁ রাস্তায় এবং কালভার্টের উপর আশ্রয় নিতে দেখাগেছে। নিজের পরিবারের খাবার জুগাতেই প্রতিবন্ধীদের সাহায নিতে হয় অন্য জনের। বন্যার জরুরী পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য দূর্গত প্রতিবন্ধী পরিবার গুলোর মাঝে শুকনো খাবার, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ওরস্যালাইন ও গবাদী পশুর শুকনো খাবার বিতরণ করা অত্যন্ত জরুরী বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ মহল।