তিস্তার ভাঙ্গনে নদীগর্ভে আশ্রয়ণ প্রকল্প
শহিদুল ইসলাম আকন্দ, স্টাফ রিপোর্টার: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় বন্যার পানি কমতে শুরু করায় বিভিন্ন পয়েন্টে তীব্র নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। গত ২ হতে ৩ দিনের ব্যবধানে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে ৪ শতাধিক পরিবার। ভেসে যাচ্ছে হরিপুর আশ্রয়ণ প্রকল্প।
উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার নদীর সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বিভিন্ন এলাকায় ২ হতে ৩ ফিট পানি কমে গেছে। পানি কমার সাথে সাথে দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন। ভাঙ্গনের শিকার পরিবারগুলো সীমাহীন দূর্ভোগে দিনাতিপাত করছে। এপর্যন্ত ৪০০ পরিবারের বসতভিটা, আবাদী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। হরিপুর ইউনিয়নের বাংলাবাজার আশ্রয়ণ প্রকল্প ভেসে যাচ্ছে নদীগর্ভে। চরাঞ্চলের বন্যাদূর্গত মানুষের আশ্রয় নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে ২০১০ সালে একতা এনজিও প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলা বাজারে তিস্তা নদীর চরে আশ্রয়ণ প্রকল্পটি নির্মাণ করে। নির্মাণের পর থেকে বন্যা দূর্গতরা এর সুফল পেলেও গত কয়েকদিনের ভাঙ্গনে আশ্রয়ণ প্রকল্পটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম সরকার জিমি বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পটি ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষার জন্য কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ক্রমান্বয়ে বিলীন যাচ্ছে। একতা এনজিও প্রতিনিধিদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানান, আমাদের প্রকল্প মেয়াদ শেষ হওয়ায় মেরামত ও সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছে না। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের তদারকিতে রয়েছে বর্তমাণে আশ্রয়ন প্রকল্পটি। এব্যাপারে উপজেলার নির্বাহী অফিসার এসএম গোলাম কিবরিয়া জানান, আশ্রয়ণ প্রকল্পটি এনজিও কর্তৃক নির্মিত হওয়ায় করণীয় কিছু নেই। তিনি আরও জানান, ৪ হতে ৫ দিনের ব্যবধানে বেলকা, হরিপুর, কাপাসিয়া, চন্ডিপুর ও কঞ্চিবাড়ী ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে ৩৯৫টি পরিবার নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।