লোহাগড়ায় স্বামীর নির্যাতনের স্বাীকার অন্তঃসত্ত্বা রিখা
লোহাগড়া(নড়াইল)প্রতিনিধি: “আমি আমার স্বামীর সংসারে ফিরে জাতি চাই। সে কয় এখন তোরে আমি রাখব না। আমার নতুন সঙ্গী পাইয়ে গেছি। কিন্তু আমিতো তারে ছারতি চাইনে। আমি তার সংসার ভাংতি চাই না। আমি চাই সারা জীবন এক সাথে চলতি। আমরা এখন দুজন। আমার সামনের ভবিষ্যতে আর একজন আসতিছে পৃথিবিতে। তার কথা ভেবে আমি সংসারে ফিরে যেতে চাই। কিন্তু সে আমারে রাখবে না। ভাইয়া যে ভাবি হোক তার সাথে আমারে মিলেয় দিন”। ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা রোজা আক্তার রিখা বেগম(১৯) সাংবাদিকদের নিকট কান্নাজড়িত কন্ঠে উপরোক্ত কথাগুলি বলেন। রিখা বর্তমানে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মহিলা ওয়ার্ডের ৯ নং বিছানায় গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। চার ভাই বোনের মধ্যে মেঝ সে। পিতা খবির মোল্যা জুট মিলে কাজ করেন। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত বছর অক্টোবর মাসে ২০ তারিখে উপজেলার কোটাকোল ইউনিয়নের তেলকাড়া গ্রামের মোল্যা খেয়াল উদ্দিনের ছেলে নয়ন মোল্যার সাথে বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকেই নয়ন মোল্যা প্রায় বাবার (শশুরের নিকট) বাড়ি থেকে নানা অযুহাতে টাকা আনার জন্য চাপ দিত স্ত্রীকে। টাকা আনতে না পারলেই নির্যাতনের স্বীকার হতে হত স্ত্রী রিখা বেগমকে। গত সোমবার (১৭ জুলাই) সন্ধায় পারিবারিক কোলাহলের জের ধরে অন্তঃসত্ত্বা রিখাকে পেটে লাথি মারে স্বামী নয়ন মোল্যা। এ ঘটনায় গুরুতর আহত রিখা বেগমকে প্রতিবেশিরা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। এ বিষয়ে নয়ন মোল্যা বলেন, স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সামান্য ঝগড়া ঝাটির এক পর্যায়ে আমার অজান্তেই রিখার পেটে লাথি লেগে গেছে। অভিভাবক পর্যায়ে আমরা বিষয়টি মিমাংশা করে ফেলব। লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম করে বলেন, বিষয়টি শোনা মাত্রই ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তবে এ ঘটনায় থানায় কোন মামলা হয় নি।