লাখাই থানায় ধর্ষন মামলার আসামীকে আটকের পর ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ
মোঃ জমির আলী, হবিগঞ্জ জেলা বুরো চীফ: লাখাই থানার পুর্ব বুল্লা গ্রামের শায়েদা ওরফে শাফিয়া খাতুন নামের এক মহিলা অভিযোগ করেছেন ধর্ষণের নিয়মিত মামলার আসামী ইকবাল মিয়াকে আটকের পর ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। শায়েদা খাতুন জানান- ইকবাল মিয়া পূর্ব বুল্লা গ্রামে কাজল মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া। প্রায়ই সে তাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। এক পর্যায়ে গত ৬ জুলাই রাতে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ইকবাল মিয়া। এ ব্যাপারে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে মামলা নেয়া হয়নি। কোর্টে মামলা দায়ের করা হলে মামলাটি এফআইআর করার নির্দেশ দেন আদালত। গত ১৩ জুলাই সকাল ১১টার দিকে তিনি পুলিশকে দিয়ে বুল্লা বাজার থেকে আসামী ইকবাল মিয়াকে গ্রেফতার করান। এরপরই পুলিশ তাকে ছেড়ে দিতে উঠেপড়ে লাগে। শায়েদা খাতুন জানান-“আসামী ইকবাল মিয়াকে ছেড়ে দেয়ার অজুহাত হিসাবে পুলিশ ইকবাল মিয়ার ভোটার আইডি কার্ড, তার বাবার ভোটার আইডি কার্ডসহ তার পরিবার পরিজনের ভোটার আইডি কার্ড দেখতে থাকে। পুলিশ জানায় আসামীর বাবার নাম ঠিক নেই, তার গ্রামের বাড়ির নামও ঠিক নেই। আমি পুলিশকে বলেছি, আসামী ইকবাল মিয়া ১০/১৫ বছর যাবত পূর্ব বুল্লা গ্রামে ভাড়া থাকে। তার পিতার ডাক নাম নুর হোসেন, কাগজে কলমে তার পিতার নাম আব্দুর রউফ এবং স্থায়ী ঠিকানা বামৈ ইউনিয়নের নোয়াগাও গ্রামে, এবং সে ইউপি মেম্বার বলে আমি শুনেছি। ভোটার আইডি কার্ড দেখে কাউকে আসামী করার সুযোগ থাকে না। তাছাড়া জোরপূর্বক ধর্ষণ করার সময় তো আসামী তার সঠিক নাম ঠিকানা, পিতার নাম, বর্তমান পজিশন বলে বেড়ায়না। যে আমাকে ধর্ষণ করেছে, তার বিরুদ্ধে মামলা দিলাম, তাকে চিনিয়ে দিলাম, তাকে ধরিয়ে দিলাম, থানায় গিয়েও আমি বলেছি আটককৃত ইকবাল মিয়াই সেই ইকবাল মিয়া যে আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষন করেছে, এতোসব বলার পরও পুলিশ তাকে ছেড়ে দিয়েছে। আমার দেয়া তথ্য ও ছবিতে আমার দায়েরী মামলার পরদিন গত ১০ জুলাই তারিখে হবিগঞ্জের প্রায় সবকটি পত্রিকায় ইকবাল মিয়ার ছবিসহ সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। আমি পুলিশকে সব দেখিয়েছি। কিন্তু পুলিশ আমার কোনো বক্তব্যই শুনেনি। ইকবাল মিয়াকে বুল্লা বাজার থেকে আটক করে নিয়ে যাওয়া লাখাই থানার এসআই শাহিন জানান-শায়েদা খাতুনের মামলায় ইকবাল মিয়ার বাড়ি পূর্ব বুল্লা গ্রামে উল্লেখ করা হয়েছে। যে ইকবাল মিয়াকে আটক করেছি তার বাড়ি নোয়াগাও গ্রামে। তাই তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ধর্ষণ মামলার বাদীর চিনিয়ে দেয়া আসামীকে কিভাবে ছেড়ে দেয়া হল এমন প্রশ্নের কোনো জবাব দেননি এসআই শাহিন। জানা যায়, ইকবাল মিয়াকে ছেড়ে দিতে দিনভর লাখাই থানায় নাটকীয় কাণ্ড ঘটে।