ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম আজাদ খানের বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্য সহ ব্যাপক অভিযোগের পাহাড়
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সেলিম আজাদ খানের বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগের পাহাড় গড়ে উঠেছে। ঘুষ, দুর্নীতি, অফিসের কর্মচারীদের সাথে দুর্ব্যবহার, সরকারি অর্থ আত্মসাৎ ইত্যাদি অসৎ কর্মে তার জুরি মেলা ভার।ঝিনাইদহে যোগদানের পর থেকে তার দুর্নীতি শুরু হয়। সে দুর্নীতির মাধ্যেমে পছন্দের ঠিকাদারের আই ডি নম্বর ও পাসওয়ার্ড রেখে ৭% ঘুষের চুক্তিতে নিজেই টেন্ডার ড্রপ করে দেয়। যার কারনে ঝিনাইদহ সওজয়ের অনেক ঠিকাদার থাকা সত্ত্বেও মাত্র ৩টা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ পেয়েছে। এছাড়া অফিসে জরুরী মেরামতের মালামাল দিয়ে কাজ করিয়ে বিভিন্ন ঠিকাদারের নামে আর.এফ.কিউ ও ডি.পি.এম করে নিজে উঠিয়ে নেয়। তাছাড়া যে কাজ গুলো খুলনা এবং ঢাকা থেকে টেন্ডার হয় সে কাজ গুলি বুঝে নেয়ার দায়িতও¡ থাকে তার উপর। সেখানে সে ঠিকাদারের সাথে লাভের টাকার অর্ধেক ভাগ করে নেয়ার চুক্তিতে আবদ্ধ হয়ে কাজ দেখার দায়িত্ব গ্রহণ করে। যেমন বর্ষার আগেই ঝিনাইদহ বাসীর মহাসড়কে যান বাহন চলাচলের যাতে কোন অসুবিধা না হয় সে জন্য সরকার অর্থ বরাদ্দ করে। ঝিনাইদহ জেলার মহাসড়কের আরাপপুর মোড়, তসলিমা ক্লিনিকের পাশে, চুয়াডাঙ্গা বাস স্ট্যান্ডের গোল চক্কর, হালিধানি বাজার, তেঁতুলতলা বাজার, কালীগঞ্জ মাহাতাব উদ্দিন ডিগ্রী কলেজের সামনে ও খয়ের তলা নামক স্থানের জন্য কোন রকম ভাবে ইট ফেলে ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা তুলে নেয়। ঝিনাইদহ যশোর সড়কের বেশ কয়েক জাইগা রাস্তার পাশে মাটি দিয়ে ভরাট কারার নামে এক জাইগাই সামান্য মাটি দিয়ে ৫ লক্ষ টাকা বিল উঠিয়ে নেয়। তাছাড়া ঝিনাইদহ শহরের হামদহ থেকে বাস টার্মিনাল পর্যন্ত ৬ মি.লি মিটার কার্পেটিং এর কাজ শুধু পিটি আইয়ের সামমে নাম মাত্র করে ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা বিল উঠিয় নেয়। তেঁতুলতলা বাজার, কালীগঞ্জ মাহাতাব উদ্দিন ডিগ্রী কলেজের সামনে ও খয়ের তলা নামক স্থানে আবার টেন্ডার করে এবং এই মিজানুর রহমান নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পায়। কাজের শুরুতেই ঝিনাইদহ যশোর মহাসড়কে চলছে ব্যাপক দুর্নীতি এই মর্মে বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক ও জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হলে নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম আজাদ খান ভীষণ ক্ষুদ্ধ হয়ে যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক সত্যপাঠ পত্রিকা ছুড়ে ফেলে দেন। যার ফল স্বরূপ কালীগঞ্জের খয়ের তলার রাস্তা ৫ কোটি টাকার রাস্তা ২০ দিনের মাথায় বিশাল ফাটল সৃষ্টি হয়। উনি আবার অফিসে রক্ষিত পিচ পাথার দিয়ে পিটি আইয়ের সামনে থেকে গোরস্থান মোড়, মেসার্স সাদিয়া এন্টারপ্রাইজের নামে ১৩ লক্ষ ৪৮ হাজার ৪ শত ৫১ টাকার কাজ, ঝিনাইদহ পোষ্ট অফিস মোড় থেকে চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত ও হালিধানি বাজারের রাস্তার খানা গর্ত বন্ধ করার নামে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা উঠিয়ে নেয়। হরিণাকুন্ডুর আমতলা তেলটুপি রাস্তায় যেন তেন ভাবে কাজ করে দুই কোটি ৩২ লাখ টাকা জুনের আগেই তুলে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এই সড়কের বিভিন্ন অংশে লেনথ ও খোয়ার থিকনেস কম দেওয়া হয়। কাজটি করেন বাগেরহাটের ঠিকাদার মোজাফফর। ঝিনাইদহ কুষ্টিয়া সড়কের দুধ সর আশ্রয়ণ প্রকল্প হতে গাড়াগঞ্জ ৬৭ লক্ষ ৬ হাজার টাকা, চড়িয়ার বিল হতে শেখপাড়া বাজার জহুরুল ইসলাম এন্টার প্রাইজ ৪৯ লক্ষ ১৩ হাজার, যশোর ঝিনাইদহ সড়কে ছালাভরা থেকে দোকান ঘর ৫২ লক্ষ ৯০ হাজার টাকার কাজ করার পর ২ দিন পরে রাস্তা সাবেক জাইগা ফিরে আসে। শৈলকূপা গাড়াগঞ্জ সড়কে গাড়াগঞ্জ থেকে বারইপাড়া ও শৈলকূপা লাঙ্গল বাধ সড়কে ২ কোটি টাকার কাজে ব্যাপক লুট পাঠ করেছে সেলিম আজাদ খান।তাছাড়া ঝিনাইদহ মাগুরা সড়কে কয়েক জাইগা নাম মাত্র কাজ করে ঠিকাদারের নামে বিল উঠিয়ে নিয়েছে। ঝিনাইদহ চুয়াডাঙ্গা সড়কে তামাক মিলের অফিস থেকে ১০ মাইল পর্যন্ত ৫.৭০ মিটার সাইড সম্প্রসারণের ২৬ কোটি টাকার কাজে ২০ কোটি টাকা গায়েব এই মর্মে আগেই কয়েকটি পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়েছে। সাইডের ৬ ফিট রাস্তায় ২৪ ইঞ্চি গর্ত করে ১২ ইঞ্চি বালি দিয়ে পূর্ণ করার শর্তে ১৬ ইঞ্চি অর্ধেক মাটি ও বালি দিয়ে পূর্ণ করা হয়েছে। বেজওয়ানে ১০ ইঞ্চির ৩ ঝুড়ি ইটের খোয়া ও ১ ঝুড়ি বালি দিয়ে পূর্ণ করতে হবে। সেখানে বেজওয়ান ১০ এর স্থানে ৬ ইঞ্চি তাও বালিমাটি মিশিয়ে ৩ ঝুড়ি ইটের খোয়ার জাইগা ৩ ঝুড়ি বালিমাটি ও ১ ঝুড়ি খোয়া দিয়ে পূর্ণ করা হয়েছে। এই কাজ টি করছে বাগেরহাটের মোজাফফর ঠিকাদার। এছাড়া ঝিনাইদহ হরিনাকুন্ড ২২ কিমি রাস্তায় ৫ কোটি টাকা ঘুষ নিয়ে ৪৫ কোটি টাকার কাজ মেহের পুরর জে আর গাড়ির মালিকের ঠিকাদারি প্রতিস্তান জহুরুল ইসলাম এন্টার প্রাইজ কে দেওয়া হয়েছে। এই ভাবে একের পর এক দুর্নীতি করে বহাল তবিয়াতে আছে। ইহাছাড়া গবেষণা গারের কথা বলে আর এফ কিউ করে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা উঠিয়ে নিয়েছে। তার সবশেষে উঠিয়েছে ২ লক্ষ ৯৯ হাজার ৭ শত টাকা। এই দুর্নীতিবাজ অফিসারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে অনেকে ঝিনাইদহ থেকে নিজে অন্যত্র বদলি বদলি হয়েছে। অনেকে সড়ক বিভাগের মহা পরিচালকের নিকট প্রতিকার চেয়ে এর নিকট থেকে রেহায় পায়নি। জানা গেছে নিন্ম কর্মচারী কর্মকর্তাদের অকথ্য ভাষায় প্রতিনিয়ন গালাগালি করে। এই দুর্নীতি করার পরও ঝিনাইদহ জেলার সড়ক গুলির বেহাল দশার পরে কাজ না করে ৩ কোটি উন্নয়ন বরাদ্দের টাকা ফেরত পাঠিয়েছে। তারপর ও ঝিনাইদহ বাসীর জন্য আগামী দিনের খবর আরও ভয়াভঁয়। তত্ত্ববধায়ক অফিস থেকে বার বার তাগাদা দেওয়া ষত্বে ও ২০১৭/২০১৮ অর্থ বছরের কর্ম পরিকল্পনার কোন কর্মসূচি উনি দপ্তরে পাঠায়নি। যার কারনে সেলিম আজাদ খান কে যশোর তত্ত্ববধায়ক প্রকৌশলী মোঃ সুরুজ মিয়া সরকারি কাজে দায়িত্ব পালনে গাফলতির জন্য কৈফিয়ৎ তলব করেছে। তার এই কর্ম পরিকল্পনা পাঠান গাফলতির কারনে এই অর্থ বছরে ঝিনাইদহ জেলার সড়কের উন্নয়ন অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এই সকল প্রসঙ্গে নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম আজাদ খানের নিকট মোবাইলে জানতে চাইলে সাংবাদিকের কথা শুনে জরুরী মিটিংএ ব্যাস্ত আছি বলে দ্রুত মোবাইল কেটে দেন।