লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্তিতি অপরিবর্তিত। জেলা প্রশাসকের ত্রান সামগ্রী বিতরণ
এস এম আলতাফ হোসাইন সুমন, জেলা প্রতিনিধি লালমনিরহাট : বানের পানি ধীরে ধীরে কমলেও লা লমনিরহাটে বন্যা পরিস্তিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। তিস্তা নদীর পানি হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের কাছাকাছি ডালিয়ার তিস্তা ব্যরাজ পয়েন্টে বিপদসীমার ১৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আমিনুর রশীদ। অপরদিকে ধরলা নদীতে বিপদসীমার ১৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। ধরলা কাছ ঘেঁষে বয়ে যাওয়া রত্নাই নদীরও পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে এসব নদীর দুইপাড়ে বসবাসকারী শত শত পরিবার পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তিস্তার পানির তোড়ে হাতীবান্ধার সিঙ্গিমারী ইউনিয়নের ধুবনী এলাকায় বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। লালমনিরহাটের সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ধরলা ও রত্নাই নদীর মাঝে একটি বাঁধ ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়। সোমবার দিবাগত রাত থেকে মঙ্গলবার(১১-জুলাই) দিনভর পানি উন্নয়ন বোর্ড সেই বাঁধটি বালুর বস্তা দিয়ে তৈরি করছেন। প্রায় তিন হাজার বস্তা দিয়ে এ বাঁধটি নির্মাণ করা হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কৃষ্ণ কমল সরকার। স্থানীয় বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধিদের অভিযোগ, প্রয়োজনের তুলনায় পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী ক্ষতিগ্রস্তরা পাচ্ছেন না। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পর্যাপ্ত ত্রাণ তৎপরতা চালানোর দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো। লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবুল ফয়েজ মোঃ আলাউদ্দিন খান হাতীবান্ধা উপজেলায় তিস্তার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন এবং ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকারি পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী বরাদ্দ রয়েছে। তিস্তা বিধৌত অঞ্চলের মধ্যে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের ৯ হাজার ২৫৮টি পরিবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য ২৮ মেট্রিকটন জিআর চাল, নগদ ৪ লাখ টাকা, ৭শ শুকনা খাবারের প্যাকেট বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও তিস্তা পাড়ের আদিতমারী উপজেলার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩ হাজার পরিবারের মাঝে ১২ মেট্রিকটন চাল, ১ লাখ টাকা, ১৫০ প্যাকেট শুকনা খাবার ও লালমনিরহাট সদর উপজেলার তিস্তা, ধরলা ও রত্নাই নদীতে ক্ষতিগ্রস্ত ৫ হাজার পরিবারের মাঝে ১৫০ প্যাকেট শুকনা খাবার, ১২ মেট্রিকটন চাল ও ১ লাখ নগদ টাকা বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।