সান্তাহারে জমে উঠেছে ঈদ বাজার

PIC-18.06.17
আদমদীঘি প্রতিনিধি : ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই বগুড়ার সান্তাহার পৌর মার্কেট গুলোতে কেনা-বেচা জমে উঠেছে। ঈদে ক্রেতার চাহিদা মাথায় রেখে বিক্রেতারাও আগে ভাগেই তাঁদের পণ্যের পসরা সাজিয়েছেন। ক্রেতাদের ভিড়ে দম ফেলার ফুসরত নেই বিক্রেতাদের। অনান্য বছর রমজান মাসের শেষের দিক থেকে ঈদের কেনাকাটা জমলেও এবার ১৫ রমজান পার হতে না হতেই সান্তাহারের বিভিন্ন বিপণি বিতানে ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। বরাবরের মতো এবারেও ঈদ বাজারে ছেলেদের পায়জামা-পাঞ্জাবী ও স্যান্ডেল, মেয়েদের বিভিন্ন ধরনের থ্রি-পিস এবং শিশুদের রকমারী পোশাক তো পাওয়া যাচ্ছেই। এরই মধ্যে সান্তাহারের আয়েজ প্লাজা, সোনার বাংলা মার্কেট, জোবেদা প্লাজা সহ বিভিন্ন বিপণি বিতানে জমে উঠেছে ঈদ বাজার। এ সব শপিং মলে এখন ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। ক্রেতাদেও মধ্যে নারী ও শিশুরাই বেশী।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মেয়েদের বিভিন্ন ধরনের থ্রি-পিস ১০০০ থেকে শুরু করে ১৫ হাজার টাকা পযর্ন্ত বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন শাড়ির দাম ১০০০ থেকে ৫০ হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। আর ছেলেদের পাঞ্জাবী ১০০০ থেকে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে। শেরওয়ানি পাওয়া যাচ্ছে ৩ থেকে ১২ হাজার টাকায়।
সান্তাহার সোনার বাংলা মার্কেটের অপুর্ব র্গামেন্টস এর মালিক শাহিনা জোয়াদার বাপ্পি জানায়, এবার মেয়েদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে “বাজিরা ও মাস্তানি” পোষাক। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের টপস, জিপসি ফ্লোর টাচ পোশাকের চাহিদাও বেশি। ঈদ উপলক্ষে ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখে দোকানে এসব পোষাকের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরন ও দামের শাড়ি, পাঞ্জাবী সমাহারও রয়েছে বলে তিনি জানান। সান্তাহারের সোনার বাংলা মার্কেটের ফ্যাশান পার্ক র্গামেন্টস এর মালিক ফারুক হোসেন জিকো জানায়, ‘১৫ রমজানের পর থেকেই এবার ঈদেও কেনাকাটা জমে উঠেছে। ঈদকে কেন্দ্র করে ব্যবসা ভালোই হবে বলে মনে হচ্ছে। কাপড়পট্টি মার্কেটের থান কাপড় ও ছিট কাপড় ব্যবসায়ী মতিন মার্কেটের আব্দুল মতিন বলেন, সাধারনত রোজার শুরু ধেকেই থান বা ছিট কাপড়ের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের আনোগোনা থাকে। এবারও তার ব্যাতয় হয়নি। কারন. ছিট কাপড় কিনে সেগুলো তৈরী করতে ঈদকে কেন্দ্র করে একটু আগেভাগেই কেনাকাটা সেরে থাকেন। এদিকে ফ্যাশন হাউস ও তৈরী পোশাকের দোকানে ভিড় থাকলেও এবার ছিট কাপড়ের দোকানগুলোতে ক্রেতা অপেক্ষাকৃত কম। এর আগের বছরগুলোতে ১৫ রমজানের পর দরর্জির দোকানে অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হলেও এবার এখনও অর্ডার নেওয়া হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *