মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী জেলখানা আছে, আসামি নাই চাষ হচ্ছে সেখানে তরকারি। সরকার কি বিষয়টি জানেন ?

05
শেখ রবিউল ইসলাম (ষ্টাফ রির্পোটার): খুলনার পাইকগাছা উপজেলায় বিগত এরশাদ সরকার আমলে উপজেলা পদ্ধতি শুরু করবার পর কোটি টাকা খরচ করে নির্মন করেছিল পাইকগাছা কয়রা মিলে ২ থানার আসামি রাখবার জন্য জেলখানা। আর সেই জেলখানায় বর্তমানে চলছে তরকারি চাষ। আর আসামির পরিবর্তে থাকছে গরু, ছাগল। এখন প্রশ্ন হচ্ছে সরকার চলে জনগনের ভোটে। বাংলাদেশের একজন সচেতন নাগরিকের পক্ষ থেকে জিজ্ঞাসা কেন এই অপচয়, কোটি টাকা খরচ করে সরকার কেন তৈরী করলেন জেলখানা, আমরা ক্ষমতায় গেলে কখনো কি ভেবেছি সরকারি অর্থ আসে জনগনে রাজস্ব, ট্রাক্স এবং অনুদানের মাধ্যমে। সরকার বেতন গ্রহন করে জনগনের টাকায়। অনেকে বলেন আগের সরকার করেছে বলে বাস্তবায়ন হয়নি। সরকার যে পার্টি থাকুক না কেন জনগনের কল্যানে সরকার কর্তৃক যে সকল স্থাপত্য, নির্মান হবে তা বাস্তবায়ন সরকার করবে নাকি জনগন। উন্নয়নের জোয়ার বইতে বাংলাদেশ। জনাব সরকার আপনার কাছে জিজ্ঞাসা মানব কল্যানে যে সমস্ত স্থাপনা নির্মান শুরু হয়ে বন্ধ হয়ে পরে আছে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় অনেক জায়গায় দেখেছি নদী অথবা খালের মাঝ বরাবর ব্রিজ নির্মান করে অন্য দোহাই দিয়ে বন্দ করে নিয়েছে। সমগ্র বাংলাদেশের একই চিত্রে পাওয়া যাবে সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তিও জিনিসপত্র খোলা আকাশের নিচে নষ্ট হচ্ছে এর হিসাব কে দেবে। জনগন ভুল করলে আইনের বেড়াঝালে তাকে যদি আইন অমান্য করর কারনে শাস্তি পেতে হয়, তাহলে সরকার ও তার অধিনস্থ কর্মকর্তা ও দপ্তরগুলি কেন আইনের আওতায় আসবে না। যদি সঠিক বিচার করতে হয়, তাহলে সরকার প্রধানদের কাছে আসহায় জনগনের জিজ্ঞাসা ? কোন এলাকায় বা শহরে কিংবা উপজেলা সদর গুলিতে সরকারি সম্পত্তি ও জিনিস গুলির ব্যবহারের পূর্বে সরকার কি তা সম্প্রতি জ্ঞাপন করেনি ? শুধুমাত্র জনগনের অর্থের অপচয় হতেই থাকবে ? এ কটি বিষয় উত্থাপিত হলে তা সরকার থেকে নির্বাচন হয়। পরবর্তিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলির মাধ্যমে কায্যকরি ব্যবস্থা গৃহিত হয়। তাহলে এটাকি সরকার বা সংশ্লিষ্ট দপ্তর গুলির দায়িত্ব আসে না ? সরকার বা সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুরি কি পরিমান সরকারি সম্পত্তি বা জিনিসপত্রের আনুঃ মানিক মুল্য বা কি কি জিনিস পত্র সরকারের নিকট গচ্ছিত আছে তার কোন হিসাব নেই বা চাইলেও দিতে পারবে না। এটাকি সরকারের ক্ষতি নয়। দেশে সু-শাসন ও জবাবদিহিতার কোন আইন না থাকার কারনে প্রতি বছর সরকারি সম্পত্তি নষ্ট বা হত বদল হয় কয়েক হাজার কোটি টাকার মূল্যর। যা আদৌ কি সরকার জানেন ? সরকার চাইলে মূহুর্তের মধ্যে সারা বাংলাদেশের হিসাবে নিতে পারেন। কিন্তু উন্নয়ন উন্নয়ন বলে বিদেশ থেকে অর্থঋণ বা ভূতুর্কি বলে প্রতি নিয়ত ঋণের বোঝা চাপিয়ে চলেছে জনগনে ঘাড়ে। এর থেকে মুক্তি যতক্ষন না হবে ততক্ষন সরকার কখনোই পারবে না উন্নয়ন বাস্তবায়ন করতে। আজ আমাদের এই লেখার মাধ্যমে সরকার প্রধান এর প্রতি যথাসম্ভব দ্রুতগতিতে সার বাংলাদেশের অব্যবহারকৃত সরকারি সম্পত্তি ও জিনিস পত্রের স্ব স্ব দপ্তরগুরির প্রতি হিসাব প্রদানের নির্দেশ প্রদান করুন। দেখবেন দেশের সরকারি কোষাঘরে কয়েক হাজার কোটি টাকা জমা পড়বে, এবং যে সকল স্থাপর্তিগুলি সম্পূর্ন নির্মান কাজ সম্পাদন হওয়ার পরও অন্য দোহায়ে দিয়ে ব্যবহৃত হচ্ছে তার বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করে সেখানে অন্য কাজ পরিচালিত হওয়ায় অবাক হয়েছে সাধারণ জনগণ। অনেকেই মনে করেন যে সকল সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলি ইতিপূর্বে সরকারী অর্থে নির্মিত হয়েছে সেগুলি যথাযথ ব্যবহার অর্থাৎ সরকারী যে কোন প্রতিষ্ঠান তৈরি করে চালু রাখলে সরকারের সেই সমস্ত খাতে নতুন করে টাকা খরচ হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। জনগণের কষ্ঠার্জিত অর্থে সরকারকে চলতে হয়। সরকার পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করে সরকারী অর্থ অপচয় থেকে বাঁচুক। দেশে সু-শাসন ও জবাদিহিতার আইন পাশ হলে অনেক সম্পদ, অর্থ বেঁচে যাবে। দূর্নীতি ও বন্দ হবে। যখন শুনতে পাই দূর্নীতির লিষ্টে এই দেশটির নাম তখন দুঃখ লাগে এই জন্যই কি জাতীর পিতা একটি স্বাধীন দেশ আমাদের জন্য রেখে গিয়েছিলেন। (চলবে)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *