সাপাহারে আড়তে প্রায় ৮ শত কোটি টাকার আম বিক্রির সম্ভাবনা
নয়ন বাবু, সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি : বছর শেষ হতে না হতেই আবারো ফিরে এসেছে আম মৌসুম, শুরু হয়েছে নওগাঁর সাপাহারে আম বেচা-কেনা। আম বিক্রি করতে পেরে উপজেলার আম চাষীরা অনেক খুঁশি। দেশের বৃহত্তম আমের বাজার নবাবগঞ্জের পর গত ২৯ মে নওগাঁর সাপাহারে আম বেচা-কেনার কাজ শুরু হয়েছে। বাজারে আম কেনা বেচার কথা শুনে অনেক বাগান মালিক দু-তিন দিন আগে বাগানে বাগানে আম ভাঙ্গার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বেপারীগন আড়তে আড়তে অবস্থান নিয়ে আম কিনছে।
কয়েকজন আম চাষী জানান, বাগানের আম রোজার মাসে বিক্রি করতে পেরে তারা অনেক খুশি হয়েছেন। আম বিক্রি শুরু হতে না হতেই আম বাজার বা আড়ত এলাকা ক্রেতা-বিক্রেতার পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। ভর মৌসুমে এসব এলাকায় তিল ধরনের ঠাঁই মিলবেনা বলেও অনেক আড়তদারগন জানিয়েছেন। এদিকে বাজার ও আমের আড়তগুলোতে প্রাণ পেপসি ও জুসের জন্য ৬শ থেকে ৭শ টাকা মন দরে বিভিন্ন গুটি আম ও ১৪শ থেকে ১৬ শ টাকা মন দরে গোপাল ভোগ আম কেনা বেচা হতে দেখা গেছে। অন্যান্য জাতের আমের বিষয়ে বিভিন্ন বাগান মালিক ও আড়তদার গনের সাথে কথা হলে তারা জানান, খিরশাপাত, হিমসাগর, ক্ষুদি খিরসা, লেংড়া আম বাজারে আসতে আরোও দু-তিন সপ্তাহ লেগে যাবে। এ ছাড়া ফজলী, আ¤্রপালী, আশ্বিনা সহ আরো বেশ কয়েক জাতের আম প্রায় রোজার শেষে বাজারে আসবে বলেও বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীগন জানিয়েছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবারে সাপাহারে আম বাজারে প্রায় ৭ থেকে ৮ শত কোটি টাকার অর্থনৈতিক লেন দেন হবে এছাড়া উপজেলায় প্রায় ১৫ হাজার হেঃ জমিতে লাগানো বাগানে অনুমান ১৩ লক্ষ গাছ হতে প্রায় দেড় লক্ষ টন আম উৎপাদন হতে পারে বলেও জানা গেছে। আর কিছু দিন পরে ঠাঁঠা বরেন্দ্র এলাকার খিরশাপাত, লেংড়া, হিমসাগর, মহোনভোগ, দুধসাগর, কুমড়াজালী, ফজলী, নাগফজলী, আ¤্রপলী, বারী-৪, হাঁড়ীভাঙ্গা, আশ্বীনা সহ বিভন্ন জাতের সুমিষ্ট রসালো আমের সমাহারে আমের বাজার ভরপুর হয়ে উঠবে বলেও এলাকার আম বাগান মালিক ও আড়তদারগন জানান।
জেলার কোথাও কোন আম সংরক্ষনাগার বা জুস বা জেলী তৈরীর কোন কারখানা না থাকায় কোন কারণে আমের বাজারে দর পতন ঘটলে এলাকার আম চাষীদের মাথায় বাজ পড়বে বলেও অনেক বাগান মালিক জানিয়েছেন।